পাড়ার কাকার সঙ্গে পরকীয়া! 'ঘনিষ্ঠ' অবস্থায় দেখেই মহিলাকে পিটিয়ে খুন গ্রামবাসীর
মাস পাঁচেক আগে গ্রামে সালিশি সভাও বসে। সালিশি সভায় দুজনকেই জরিমানা করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কাকার সঙ্গে পরকীয়া! আর তার জেরেই এক আদিবাসী মহিলাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম মালতি মুর্মু। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। আতঙ্কে পুরুষশূন্য গোটা গ্রাম।
কেশপুরের জোড়াকেঁউদি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উপরঘুচিশোল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মালতি মুর্মু। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫২ বছরের মালতির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল স্থানীয় সনাতন হাঁসদার। ৬৫ বছরের সনাতন হাঁসদা সম্পর্কে মালতির কাকা। প্রায় বছর দুয়েক ধরে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার পর বেশ কয়েকবার ২ জনকেই সাবধান করেছিলেন গ্রামের যুবকরা।
এমনকি মাস পাঁচেক আগে গ্রামে সালিশি সভাও বসে। সালিশি সভায় দুজনকেই জরিমানা করা হয়। কিন্তু তারপরেও মেলামেশা বন্ধ হয়নি। এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে দুজনকে এক জায়গায় বসে মদ্যপান করতে দেখেন গ্রামের যুবকরা। মালতি মুর্মুর বাড়ির সামনে বসেই মদ্যপান করছিলেন দুজনে। অভিযোগ, দুজনকে একসঙ্গে দেখা মাত্রই তাঁদের উপর চড়াও হয় গ্রামের যুবকরা।
আরও পড়ুন, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবি বিতর্কে বহিরাগত যোগ, 'ভুলের' জন্য ক্ষমা চাইতে ক্যাম্পাসে ৫ পড়ুয়া
আরও পড়ুন, ক্লাসরুমে ছাত্রীদের দিনের পর দিন আপত্তিকরভাবে 'স্পর্শ', প্রধান শিক্ষককে গাছে বেঁধে রাখল পড়ুয়ারা
বেধড়ক মারধর করা হয় যুগলকে। অভিযোগ, মারধরের চোটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মালতি মুর্মুর। গুরুতর জখম হন সঙ্গী সনাতন হাঁসদা। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় গ্রামের যুবকদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছে দুই পরিবার। এদিকে ঘটনার পর শুক্রবার সকালে গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে গ্রামে তল্লাশি চালায় বিশাল পুলিস বাহিনী।