Rail Accident: কাকদ্বীপের বাড়িতে বিহারের বাসিন্দার মৃতদেহ, রেল দুর্ঘটনার সাত দিন পরেও বিপাকে স্বজনহারা পরিবার
উড়িষ্যার রেল দুর্ঘটনায় সাত দিন কেটে যাওয়ার পরে অবশেষে কাকদ্বীপের একটি পরিবারে ফিরে আসে প্রিয়জনের মৃতদেহ। কিন্তু ফিরে আসার পরেও পরিবারের লোকজন মৃতদেহ গ্রহণ করতে পারলেন না।
নকীব উদ্দিন গাজী: রেল দুর্ঘটনায় বিহারের এক যুবকের মৃতদেহ , কাকদ্বীপের মৃত যুবক বলে পাঠিয়ে দিল প্রশাসন। ঘটনায় বিভ্রান্ত মৃতের পরিবার। ফিরে গেল মৃতদেহ।
উড়িষ্যার রেল দুর্ঘটনায় সাত দিন কেটে যাওয়ার পরে অবশেষে কাকদ্বীপের একটি পরিবারে ফিরে আসে প্রিয়জনের মৃতদেহ। কিন্তু ফিরে আসার পরেও পরিবারের লোকজন মৃতদেহ গ্রহণ করতে পারলেন না।
উড়িষ্যার রেল দুর্ঘটনায় সাত দিন কেটে যাওয়ার পরেও কাকদীপ বিধানসভার অন্তর্গত মধুসূদনপুরের ৬৪ নম্বর বুথের পাঁচ সদস্যের মধ্যে দুই সদস্যকে মৃত শনাক্তকরণ করার পরে বাড়িতে ফিরলেও তিন সদস্যর মৃতদেহ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: অবশেষে বর্ষা এল দেশে, জেনে নিন কবে বৃষ্টি পাবে বাংলা
বৃহস্পতিবার বিকেলে এক নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ কাকদ্বীপে নিয়ে আসা হয় বালেশ্বর এলাকা থেকে। মৃত সামসুল হুদা শেখ নামে বছর তিরিশের এক যুবকের দেহ বলে জানা যায়। মৃতদেহ বাড়িতে ফিরলেও গ্রহণ করতে পারলেন না বাড়ির লোকজন। মৃতের বাড়ির লোকজন ও পুলিস সূত্রে জানা যায়, কাকদ্বীপ পুলিস মর্গে বডি ময়নাতদন্ত করার সময় মৃতদেহের পোশাকের মধ্যে থেকে আধার কার্ড পাওয়া যায়।
জানা যায় তাঁর নাম রাজা সাহানিয়া। তিনি বিহারের বাসিন্দা। এরপরেই শুরু হয় জটিলতা। মৃত শেখ শামসুল হুদার দেহ নয়। ফলত এই মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে শামসুল হুদার পরিবার। অগত্যা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতে মৃতদেহটি পুনরায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় উড়িষ্যার বালেশ্বরে।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: 'আগামী একমাস অপচয় করার মতো সময় আমার হাতে নেই'!
এর পাশাপাশি পরিবারের লোকের জন্য সঙ্গে কথা বললে জানা যায় শামসুল হুদা শেখ ছাড়াও আরও দুজনের মৃতদেহের এখনও পর্যন্ত খোঁজ পাঅয়া যায়নি। ৪৭ বছরের আদুল মাজিত শেখ এবং ৩৪ বছরের গিয়াসউদ্দিন শেখ।
এখনও তিনজনকে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রাম। যদিও একজনের দেহ পাওয়া গেলেও সেটা আবার অন্য রাজ্যের বাসিন্দার মৃতদেহ।
প্রশ্ন হচ্ছে মৃতদেহ আসার আগে সঠিক শনাক্তকরণ হচ্ছে না কেন। পরিবার সহ এলাকার মানুষজন লোকজনের দাবি, সাত দিন কেটে যাওয়ার সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত মৃতদেহ কেন পাচ্ছে না পরিবার? কবে পাবে সেই প্রশ্ন এখন পরিবারের মনে।