জলপাইগুড়ির ইয়াবা পাচারকাণ্ড, জেরায় সময় নাটকীয়ভাবে বেরিয়ে এল কিংপিনের নাম
ধৃতদের জেরা করে মারাত্মক তথ্য এসেছে বলে জানান পুলিশের এক পদস্থ অফিসার
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাটকীয়ভাবে পুলিসের জালে কোটি টাকা ইয়াবা পাচারচক্রের কিং পিন। মণিপুর থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত একটি ড্রাগ পাচারচক্রের করিডোর তৈরি হয়েছিল তার পরিকল্পনাতেই। রাকেশ শ নামে পোস্তার সেই ব্যবসায়ীকে ফাঁদ পেতে ধরল জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানার পুলিস।
আরও পড়ুন-বর্ধমানে এশিয়ার বৃহত্তম ঝুলন্ত রেলব্রিজ উদ্বোধন হতে চলেছে দু'বার, ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত
কী ভাবে হদিশ পাওয়া গেল রাকেশ শ-র? পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে সোমবার একটি টিয়াগো গাড়ি থেকে পাওয়া যায় ১ কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট। জানিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার অভিষেক মোদী। ওই গাড়ির চালককে জেরা শুরু করে পুলিস।
সোমবার রাতে গাড়ির চালক অজিত থাপাকে জেরা করার সময় আচমকাই ঘটে যায় একটি ঘটনা। জেরার সময়েই বেজে ওঠে অজিতের মোবাইল। দেখা যায় তাকে ফোন করছে মাদক পাচার চক্রের কিংপিন রাকেশ শ।
ফোন তুলেতই অজিতকে রাকেশ জিজ্ঞেস করে জলপাইগুড়ি আসতে দেরি হচ্ছে কেন? অজিত রাকেশকে জানায় জলপাইগুড়ির আসাম মোড় এলাকায় আসতে। সেখানেই ফাঁদ পাতে কোতয়ালি থানার আইসি বিশ্বেশ্বর সরকারে নেতৃত্বে একটি টিম। ওই বিপুল মাদক নিতে এসেই শেষপর্যন্ত পুলিসের ফাঁদে পড়ে যায় রাকেশ।
আরও পড়ুন-জীবনতলায় বাড়ির সামনেই তৃণমূল নেতাকে গুলি, পায়ে হেঁটে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা
ধৃতদের জেরা করে মারাত্মক তথ্য এসেছে বলে জানান পুলিশের এক পদস্থ অফিসার। তিনি জানান মায়ানমার থেকে মণিপুর হয়ে কলকাতায় বিশাল আন্তর্জাতিক পাচারকারীরা শুধু মাদক পাচার করে না। একই সাথে তারা সোনাও পাচার করে। পাচার কাজে মহিলাদের লাগানো হয়। টাকার লেনদেন হয় হাওলার মাধ্যমে।