Sun Storm: প্রচণ্ড গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌরঝড়, ফল ভুগতে হতে পারে গোটা বিশ্বকে!
সূর্যের চরিত্র বদল ঘটেছে বেশ কিছু বছর থেকে। মাঝে মধ্যেই ক্ষোভের আগুন প্লাজমা পরিধি ছেড়ে সৌরমণ্ডলে এসে পড়ছে। কিন্তু এবার যেন ফুঁসছেই নক্ষত্রমণ্ডলের অধিপতি। বিজ্ঞানীরা বলছে এই ঝড়ে সাথে বিপুল পরিমান সৌর কণা প্রতি সেকেন্ডে ১৬০০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা কয়েক মাস আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, এক শক্তিশালী সৌর ঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে পৃথিবীর উপর। তাঁরা বুঝতে পারছিলেন, নিয়মমাফিক সূর্য ততক্ষণে বেশ চঞ্চল হয়ে উঠেছে।
![Sun Storm: প্রচণ্ড গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌরঝড়, ফল ভুগতে হতে পারে গোটা বিশ্বকে! Sun Storm: প্রচণ্ড গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌরঝড়, ফল ভুগতে হতে পারে গোটা বিশ্বকে!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/05/12/420331-eruption.jpg)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সূর্যের চরিত্র বদল ঘটেছে বেশ কিছু বছর থেকে। মাঝে মধ্যেই ক্ষোভের আগুন প্লাজমা পরিধি ছেড়ে সৌরমণ্ডলে এসে পড়ছে। কিন্তু এবার যেন ফুঁসছেই নক্ষত্রমণ্ডলের অধিপতি। বিজ্ঞানীরা বলছে এই ঝড়ে সাথে বিপুল পরিমান সৌর কণা প্রতি সেকেন্ডে ১৬০০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা কয়েক মাস আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, এক শক্তিশালী সৌর ঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে পৃথিবীর উপর। তাঁরা বুঝতে পারছিলেন, নিয়মমাফিক সূর্য ততক্ষণে বেশ চঞ্চল হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন, Twitter CEO| Elon Musk: সরছেন মাস্ক, ৬ সপ্তাহেই নতুন মুখ! টুইটার প্রধান এবার এক মহিলা
আর সেই সঙ্গে সূর্যের ভিতর বিস্ফোরণ ঘটার মতো পরিবেশও তৈরি হতে শুরু করেছে। গত কয়েকবছরের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে সানস্পট, যা নিয়ে বেড়েছে চিন্তা। সৌর ঝড় থেকে সৃষ্টি হয়ে ছুটে আসা সৌর কণা বা মহাজাগতিক রশ্মিগুলি প্রাণীদের পক্ষে বিপদ বাড়িয়ে তোলে। যদি ঝাঁকে ঝাঁকে বায়ুমণ্ডল ভেদ করে পৃথিবী পৃষ্ঠে নেমে আসে, তবে নিমেষের মধ্যেই বিনাশ ঘটতে পারে প্রাণী জগতের। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এমনটি ঘটার কোনও সম্ভাবনা নেই।
কারণ ভু-চৌম্বকের প্রভাবে পৃথিবীকে বেষ্টন করে তৈরি হয়েছে অদৃশ্য ‘ভ্যান অ্যালেন রেডিয়েশন বেল্ট’। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যাকে ‘পৃথিবীর রক্ষা কবচ’ বলে মেনে নিয়েছেন। সৌর ঝড়-এর সময় অধিক পরিমাণে এক্স১ (X1) প্রকৃতির সৌরকণা নির্গত হয়েছে বলে দাবি করছেন নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। স্পেস ডট কম সূত্রে জানা গেল, এই সৌরকণা ধরা দিয়েছে নাসার সোলার ডাইনামিকস অবজারভেটরি সিস্টেমে।
ক্রমাগত আছড়ে পড়া কণাগুলির প্রভাবে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় স্যাটেলাইটগুলিতে। ফলে স্যাটেলাইট-এর উপর নির্ভরশীল যে কোনও যোগাযোগ ব্যবস্থায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটে সৌর ঝড়-এর সময়। ‘ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এনওএএ)-এর মহাকাশ ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, সূর্যের পৃষ্ঠে একটি নতুন ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের দেখা মিলেছে। তার প্রভাব পৃথিবীর জনজীবনের ওপরেও পড়তে পারে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জি-২ ক্যাটাগরির একটি ঝড় দেখা গেছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, আগামী ১৫ আগস্ট পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে এই দুটি ঝড়।
আরও পড়ুন, বিপুল ছাঁটাইয়ের পর এবার বেতন পর্যন্ত বাড়াচ্ছে না এই টেক জায়ান্ট সংস্থা!