NASA-র তোলা ছবিতেও মিলল না বিক্রম-এর হদিশ
১৪ অক্টোবর নাসা-র অর্বিটর ওই অঞ্চলের কিছু ছবি তুলে পাঠিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডার বিক্রম-এর কোনও হদিশ পাওয়া গেল না নাসা-র পাঠানো ছবিতেও। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র মুন অর্বিটার সম্প্রতি বেশ কিছু ছবি পাঠিয়েছে। কিন্তু তাতে বিক্রম-এর কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিক্রম হয়তো ছায়াঘেরা কোনও জায়গায় রয়েছে। অবতরণের পর থেকেই ইসরো-র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডার বিক্রম-এর। হাজার চেষ্টা করেও পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি ইসরো। এমনকী বিক্রম-এর কোনও হদিশই পাওয়া যায়নি। এবার বিক্রম-এর খোঁজে নেমে সফল হল না নাসা-ও। নাস-র এলআরও মিশনের প্রোজেক্ট বিজ্ঞানী নোয়া এডওয়ার্ড পেট্রো বলেছেন, ''বিক্রম যে অঞ্চলে ল্যান্ড করেছিল সেখানকার বেশ কিছু ছবি আমাদের হাতে এসেছে। ১৪ অক্টোবর আমাদের অর্বিটর ওই অঞ্চলের কিছু ছবি তুলে পাঠিয়েছে। আমাদের ক্যামেরা টিম প্রতিটি ছবি খুঁটিয়ে দেখেছে। কিন্তু কোনও ছবিতেই বিক্রম-এর কোনও চিহ্ন নেই। হতে পারে বিক্রম কোনও ছায়াঘেরা এলাকায় রয়েছে।''
আরও পড়ুন- সাধ্যের মধ্যেই পাঞ্চ হোল ক্যামেরা, ৬ জিবি RAM দিচ্ছে Huawei Nova 5z
আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর ভারত চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদে সফট ল্যান্ডিং-এর চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু শেষবেলায় ল্যান্ডার বিক্রম-এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে পারলে বড়সড় কৃতিত্ব অর্জন করতে পারত ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা। ইসরো দাবি করেছিল, চাঁদের সফট ল্যান্ডিং করেছিল বিক্রম। কিন্তু নাসা সেই যুক্তি মানেনি। তাদের যুক্তি ছিল, হার্ড ল্যান্ডিং করার জন্যই বিক্রম-এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরো-র। নাসার এলআরও মিশনের সঙ্গে যুক্ত আরেক বিজ্ঞানী জন কেলার জানিয়েছেন, এমনও হতে পারে বিক্রম হয়তো ওই অঞ্চলে নেই। বা ও কোনও ছায়াঘেরা এলাকায় রয়েছে। ফলে ক্যামেরায় ছবি ধরা পড়ছে না। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর নাসা-র অর্বিটার ছবি পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেই সময় চাঁদের ওই অঞ্চলে অন্ধকার ছিল। ফলে বিক্রম-এর ছবি ধরা পড়েনি। তবে এবার কিন্তু চাঁদের ওই অঞ্চলে আলো ছিল। ১০ নভেম্বর আরও একবার ছবি পাঠাবে অর্বিটর। তখনও চাঁদের ওই অঞ্চলে আলো থাকার কথা।