এই কারণেই নাকি আপনি ফেসবুক করেন, দাবি গবেষণার
ফেসবুক ব্যবহারের আসল মোটিভ কী? অবশেষে ১০ বছরের দীর্ঘ গবেষণার পর সামনে এল চিন্তায় ফেলে দেওয়ার মত এক তথ্য! ফেসবুক ব্যবহার করার আসল মোটিভ নাকি 'সোশ্যাল সাপোর্ট', দাবি গবেষণার। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির যৌথ গবেষণাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য।
ওয়েব ডেস্ক: ফেসবুক ব্যবহারের আসল মোটিভ কী? অবশেষে ১০ বছরের দীর্ঘ গবেষণার পর সামনে এল চিন্তায় ফেলে দেওয়ার মত এক তথ্য! ফেসবুক ব্যবহার করার আসল মোটিভ নাকি 'সোশ্যাল সাপোর্ট', দাবি গবেষণার। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির যৌথ গবেষণাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য।
টানা একদশক ফেসবুক, টুইটারের ওপর গবেষণা চালিয়েছেন মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী এবং একজন টুইটার ব্যবহারকারী তাদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার সময় কী ভাবেন, তাদের আচরণ, ভঙ্গি, তাদের মনস্তত্ত্ব, এইসব বিষয়কে পাথেয় করেই গবেষণার ফলাফলে উপনীত হয়েছেন গবেষকরা। ফেসবুক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে 'সোশ্যাল সাপোর্ট'-এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করার কথা যেমন বলা হয়েছে গবেষণায় তেমনই টুইটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে গবেষকদের দাবি, টুইটার ব্যবহার করা হয় জ্ঞান অর্জনের জন্য। বেশিরভাগ টুইটার ব্যবহারকারী তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জ্ঞানের সান্নিধ্য অর্জন করেন এবং বেশিরভাগ সময়েই উপদেশ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকেও তাদের মধ্যে টুইটার ব্যবহার করার চাহিদা তৈরি হয়।
টুইটার (জন্ম-২১ মার্চ, ২০০৬) কিংবা ফেসবুক (জন্ম-৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪) এখন যেমন, জন্মলগ্ন থেকে একেবারেই তেমন ছিল না। যুগের সঙ্গে সঙ্গেই বদলেছে এই দুই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। বদলে গিয়েছে এই দুই সোশ্যাল নেটওয়ার্কের নাটিজেনরাও (নেট জগতের বাসিন্দা)। শহবাগ থেকে তেহেরিক স্কোয়ার কখনও ফেসবুক কেবল আন্দোলনের একটা বার্তা বাহকের ভূমিকা নিয়েছে, আবার কখনও বিশ্ব বাজার অর্থনীতিতে বাজারের ভূমিকা নিতেও দেখা গিয়েছে ফেসবুক এবং টুইটারকে। তবে গবেষকরা মনে করেছে এই দুই সোশ্যাল নেটওয়ার্কের ব্যবহার আর যাই হোক না কেন, ফেসবুক ব্যবহারের গোঁড়া আসলে 'সোশ্যাল সাপোর্ট'।