নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের গাড়ির বাজারে এখন মন্দা। সেই মন্দায় রয়্যাল এনফিল্ড-এরও নাজেহাল অবস্থা। দ্রুত হারে কমছে ৩৫০-৫০০ সিসির সেগমেন্ট-এর শীর্ষে থাকা বাইকের বিক্রি। প্রায় ৩ বছর পর এমন দুর্দিন দেখল রয়্যাল এনফিল্ড। মাসে ৫০,০০০-এরও কম রয়্যাল এনফিল্ড বিক্রি হল। গত বছর জুলাইয়ের তুলনায় এ বছর জুলাইয়ে প্রায় ২৭% বিক্রি কমেছে সংস্থার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শেষ বার ৫০,০০০-এর কম রয়্যাল এনফিল্ড বিক্রি হয়েছিল ২০১৬ সালের মে মাসে। তার পর থেকে প্রায় ৩ বছর রেকর্ড পরিমাণ বাইক বিক্রি করেছে সংস্থা। ২০১৬-এর মে মাসে ভারতের বাজারে ৪৭,২৩২টি বাইক বিক্রি করেছিল সংস্থা। এর পর টানা তিন বছর প্রতি মাসেই ৫০,০০০-এর বেশি রয়্যাল এনফিল্ড বিক্রি হয়েছে। তবে, চলতি বছর জুলাইয়ে ভাঙল সেই ট্রেন্ড। জুলাইয়ে বিক্রি হয়েছে ৪৯,১৮২টি রয়্যাল এনফিল্ড। ২০১৮-এর জুলাইয়ে এই সংখ্যাটা ছিল ৬৭,০০১। 


বাইক বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্লাসিক ডিজাইনের জন্যই ক্রেতারা আকর্ষিত হন রয়্যাল এনফিল্ডের প্রতি। বাইকের সঙ্গে জড়িয়ে মানুষের নস্টালজিয়া। কিন্তু, বেশিরভাগ ক্রেতাদের অভিযোগ, এই সেগমেন্টের অন্যান্য বাইকগুলির থেকে প্রযুক্তির দিক থেকে বেশ পিছিয়ে রয়্যাল এনফিল্ড। এই সেগমেন্টের অন্যান্য বাইকে ফুয়েল গজ, স্ট্যান্ডার্ড এবিএস, অ্যালয় হুইলস, এলইডি লাইট, টিউবলেস টায়ার ইত্যাদির সুবিধা থাকে। রয়্যাল এনফিল্ডের ক্ষেত্রে থাকে না এই ফিচারগুলি। তার সঙ্গে অতিরিক্ত ওজন ও সিটের উচ্চতার কারণেও এই বাইক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতারা। বাইক চলার সময়ে অতিরিক্ত ঝাঁকুনির অভিযোগও জানিয়েছেন অনেক ক্রেতারা। পার্টসের অতিরিক্ত দামকেও বিক্রি কমার জন্য দায়ী করছেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন-  রেকর্ড হারে কমছে দু'চাকার বিক্রি, বিদ্যুত্চালিত যানের দিকেই কি ঝুকছেন ক্রেতারা?



দেশের গাড়ির বাজারে আর্থিক মন্দার পাশাপাশি রয়্যাল এনফিল্ডের প্রযুক্তিগত পিছিয়ে থাকাকেও দায়ী করছেন অনেকে। তবে, রয়্যাল এনফিল্ড অনুরাগীদের একাংশের মতে এই বিষয়গুলি কোনও সমস্যাই নয়। বাইক চালানোর ক্লাসিক স্বাদ দিতেই আধুনিকিকরণের পথে হাঁটছে না সংস্থা। জিএসটি ও বাড়তে থাকা জ্বালানির দামের কারণেই কমছে বিক্রি, মত তাঁদের।


আরও পড়ুন-  রেকর্ড হারে কমেছে বাইক বিক্রি, চিন্তায় Royal Enfield


তবে, এর মধ্যেও আশাবাদী রয়্যাল এনফিল্ডের প্রস্তুতকারক সংস্থা আইশার মোটর্স। শীঘ্রই বাজারে আসছে রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিকের নতুন সংস্করণ। সেই বাইক এলেই আবার বাজার চাঙ্গা হবে বলে মনে করছে সংস্থা।