আজ রাতে রডরিগেজদের আটকে শেষ চারে যেতে মরিয়া নেইমাররা
দুহাজার দুই সালের পর আর বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেনি ব্রাজিল। তাই ১২ বছর পর বিশ্বকাপে শেষ চারে যাওয়ার হাতছানি সেলেকাওদের সামনে। শুক্রবার রাতে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার মুখেমুখি হচ্ছেন নেইমার-রা। ঘরের মাঠে ব্রাজিলকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত পেকারম্যানের কলম্বিয়া।ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জেতার প্রত্যাশার চাপ।
দুহাজার দুই সালের পর আর বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেনি ব্রাজিল। তাই ১২ বছর পর বিশ্বকাপে শেষ চারে যাওয়ার হাতছানি সেলেকাওদের সামনে। শুক্রবার রাতে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার মুখেমুখি হচ্ছেন নেইমার-রা। ঘরের মাঠে ব্রাজিলকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত পেকারম্যানের কলম্বিয়া।ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জেতার প্রত্যাশার চাপ।
এখনও পর্যন্ত সাম্বার ছন্দ খুঁড়ে না পাওয়ায় সমালোচনা। দলের সেরা অস্ত্র নেইমারের ফিটনেস নিয়ে সংশয়। তার মধ্যেই শনিবার হাইপ্রোফাইল কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নামছে ব্রাজিল। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে চিলির বিরুদ্ধে নেইমারদের খেলা দেখে অনেকেই ভরসা হারিয়েছেন স্কোলারির দলের উপর। সেই তালিকায় রয়েছে জিকোর মত নামও। ফোর্তালেজায় লাতিন আমেরিকান ডার্বিতে দুরন্ত ফর্মে থাকা কলম্বিয়ার মুখোমুখি হওয়ায় আগে তাই কিছুটা হলেও চাপে সেলেকাওরা। এখনও হাঁটু আর থাইয়ের চোট থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠেননি নেইমার। আর হাফ ফিট নেইমারকে সামনে রেখেই দুহাজার দুই সালের পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন দেখছে ফুটবলের দেশ ব্রাজিল। স্কোলারির সামনে সমস্যা অনেক। সেই সমস্যা সমাধানের উপর নির্ভর করছে শুক্রবারের ম্যাচের ভবিষ্যত। কার্ড সমস্যায় কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না গুস্তাভো। তাই তাঁর বিকল্প বার করা রীতিমত চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী কোচের। তার উপর রয়েছে দুই স্ট্রাইকার ফ্রেড আর জো-র গোলখরা। অন্যদিকে ব্রাজিল ম্যাচে নামার আগে আত্মবিশ্বাসে ফুটছে পেকারম্যানের কলম্বিয়া। টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত সব ম্যাচ জিতেছে লাতিন আমেরিকার এই দেশটি। প্রতি ম্যাচেই প্রায় স্ট্র্যাটেজি বদল করে চমক দিয়েছেন কলম্বিয়া কোচ। তাই ব্রাজিলের বিরুদ্ধে পেকারম্যান কি স্ট্র্যাটেজিতে দলকে খেলাবেন তা নিয়ে ধন্দে আছেন সবাই। এত কিছুর পরও ব্রাজিলের কাছে সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম জেমস রডরিগেজ। চার ম্যাচে পাঁচ গোল করে মেসি,নেইমারদেরও ছাপিয়ে গেছেন বাইশ বছরের এই স্ট্রাইকার। নেইমারদের বিরুদ্ধে জালে বল জড়াতে ছটফট করছেন ভয়ডরহীন এই স্ট্রাইকার।
দুই দলের মুখোমুখি সাক্ষাতে অবশ্য অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ব্রাজিল। ২৫ বারের সাক্ষাতের মধ্যে ১৫ জিতেছে সেলেকাওরা। সেখানে মাত্র দুবার জিতেছে কলম্বিয়া।
যদিও এই দুই দলের শেষ চারটি সাক্ষাত শেষ হয়েছে অমীমাংসিতভাবে।
এত কিছুর পরও একটা পরিসংখ্যান স্বস্তি দিতে পারে স্কোলারিকে। সেটা হল ১৯৭৫ সালের পর ঘরের মাঠে কোনও ম্যাচ হারেনি ব্রাজিল।