কারা কোথায় দাঁড়িয়ে

কারা কোথায় দাঁড়িয়ে

Updated By: Jun 21, 2014, 03:09 PM IST

পার্থ প্রতিম চন্দ্র

এখনও পর্যন্ত পাঁচটি গ্রুপের ২০টি দেশের দুটো করে খেলা হয়ে গিয়েছে। একটা আভাস পাওয়া গিয়েছে বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত কি হতে চলেছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন দেশ কোথায় দাঁড়িয়ে---
-----------------

ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে- ক্যামেরুন, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, হন্ডুরাস

শেষ ষোলোয় নিশ্চিত- নেদারল্যান্ডস, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা,ফ্রান্স (কার্যত)।
--------------------

ব্রাজিল (দু ম্যাচে চার পয়েন্ট)-আয়োজক দেশ একটা ম্যাচ ড্র করলেও প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেছে। মঙ্গলবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল দল ক্যামেরুন। ড্র করলেও শেষ ষোলো নিশ্চিত। তবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে বড় ব্যবধান জিততে হবে নেইমারদের। গ্রুপ রানার্স হলে প্রি কোয়ার্টারে খেলতে হবে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে।

মেক্সিকো (দু ম্যাচে চার পয়েন্ট)-ব্রাজিলকে রুখে দিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুরে। মঙ্গলবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দিতে পারলেই শেষ ষোলোয় উঠে যাবে। প্রি কোয়ার্টারে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী নেদারল্যান্ডস।

ক্রোয়েশিয়া (দু ম্যাচে তিন পয়েন্ট) --ব্রাজিলের বিরুদ্ধে মেক্সিকো এক পয়েন্ট তুলে নেওয়ায় বেশ চাপে ক্রোটরা। তবে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে বড় জয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। মঙ্গলবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে জিততেই হবে। হারলে তো বটেই ড্র করলেও বিদায়।

ক্যামেরুন (দু ম্যাচে শূন্য পয়েন্ট)-- পরপর দুটো ম্যাচে হেরে বিদায়। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচটা সম্মানরক্ষার।

নেদারল্যান্ডস (দু ম্যাচে ৬ পয়েন্ট)-দুটো ম্যাচে ৮টা গোল, দুটো জয় পেয়ে নেদারল্যান্ডসের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই শেষ ষোলোয় উঠে গিয়েছে ডাচরা। সোমবার চিলির বিরুদ্ধে ড্র রাখলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে। তবে হারলেই বিপদ, ব্রাজিলের বিরুদ্ধে খেলতে হবে প্রি কোয়ার্টারে।

চিলি(দু ম্যাচে ৬ পয়েন্ট)- প্রথমে অস্ট্রেলিয়া, তারপর স্পেনকে হারিয়ে ইতিমধ্যেই শেষ ষোলোয় উঠে গিয়েছে চিলি। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে সোমবার ডাচদের হারাতেই হবে।

স্পেন(দু ম্যাচে শূন্য পয়েন্ট)- পরপর দু ম্যাচ হেরে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা বিদায় নিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া(দু ম্যাচে শূন্য পয়েন্ট)- পরপর দু ম্যাচ হেরে ক্যাঙারু বাহিনীর ছুটি হয়ে গিয়েছে এবারের বিশ্বকাপ থেকে।

কলম্বিয়া(দু ম্যাচে ৬ পয়েন্ট)- প্রথমবার বিশ্বকাপের প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল কলম্বিয়া। বুধবার লিগের শেষ ম্যাচে জাপানকে হারাতে পারলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত। শেষ ষোলোয় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ত কোস্টারিকা/ইতালি vs. উরুগুয়ে।

আইভরি কোস্ট (দু ম্যাচে ৩ পয়েন্ট)- কলম্বিয়ার কাছে হেরে কিছুটা বিপদে। তবে বুধবার গ্রিসের বিরুদ্ধে ড্র রাখতেই পারলেই হাতির দেশ আইভরি কোস্ট নক আউট রাউন্ডে উঠে যাবে। তবে হারলে বিদায়।

গ্রিস (দু ম্যাচে ১ পয়েন্ট)-দু ম্যাচে এক পয়েন্ট পেয়ে বিদায় নেওয়ার মুখে। লড়াইয়ের এখটা বড় ইতিহাস আছে ইউরো ২০০৪-এর চ্যাম্পিয়নদের। বুধবার গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে দ্রোগবাদের বিরুদ্ধে মরণবাঁচন ম্যাচে ওই লড়াইটাই ভরসা। পুরো তিন পয়েন্ট না পেলে বিদায়। এমনকি তিন পয়েন্ট পেলেও বিদায় নেওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। সেক্ষেত্রে জাপানকে হারাতে হবে কলম্বিয়াকে। সেক্ষেত্রে গোলপার্থক্যে ঠিক হবে জাপান নাকি গ্রিস কারা পরের রাউন্ডে যায়।

জাপান (দু ম্যাচে ১ পয়েন্ট)- সূর্যোদয়ের দেশের বিদায় প্রায় নিশ্চিত। বুধবার কলম্বিয়ার সঙ্গে বড় ব্যবধানে জিতলে, আর আইভরি কোস্ট শেষ ম্যাচে গ্রিসের কাছে হারলে তবেই সেষ ষোলোয় উঠবে জাপানা।

কোস্টারিকা (দু ম্যাচে ৬ পয়েন্ট)-এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় চমক। গ্রুপ অফ ডেথে কোস্টারিকাকে নিয়ে কেউই চিন্তাই করেনি। তারাই সবার আগে এই গ্রুপ থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে। মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্র রাখতে পারলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া যাবে। শেষ ষোলোয় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়তো কলম্বিয়া অথবা আইভরি কোস্ট।

ইতালি (দু ম্যাচে ৩ পয়েন্ট)- প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দারুণ জয়টা পরের ম্যাচের হারে প্রায় জলে গিয়েছে। কোস্টারিকার কাছে হারের ফলে আবার শূন্য থেকে লড়াই শুরু আজুরিদের। মঙ্গলবার উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্র করলেই পরের রাউন্ডে উঠে যাবে বালোতেলি, পিরলোদের দেশ।

উরুগুয়ে (দু ম্যাচে ৩ পয়েন্ট)-প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত হারের পর খাদের কিনার থেকে ফিরে এসেছে উরুগুয়ে। সুয়ারেজের জোড়া গোলে ব্রিটিশ বধ করে উরুগুয়ের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। গ্রুপ লিগে শেষ ম্যাচে ইতালিকে হারাতেই হবে উরুগুয়েকে।

ইংল্যান্ড (দু ম্যাচে ০ পয়েন্ট)- সব আশা শেষ। বুধবার গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে শুধুই সম্মানের লড়াই। যদিও ব্রিটিশ মিডিয়া বলছে সম্মানের আর আছেটা কী!

ফ্রান্স (দু ম্যাচে ৬ পয়েন্ট)-জিদান পরবর্তী যুগে সেরা ফর্মে থাকা ফ্রান্স শেষ ষোলোয় কার্যত উঠে গিয়েছে। কার্যত কথাটা বলতে হচ্ছে কারণ এখন আর একটা মাত্র অঙ্কেই বেঞ্জিমাদের ছুটি হতে পারে। সেটা হল শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার ইকুয়েডরের বিপক্ষে রেকর্ড ব্যবধানে হারা, আর হন্ডুরাসকে সুইজারল্যান্ডের রেকর্ড ব্যবধানে হারানো। বাস্তব কথা হল ইকুয়েডরে বিরুদ্ধে ড্র রাখতে পারলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন না হতে পারলে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে মেসির মুখে পড়ে যেতে হবে বেঞ্জিমাদের।

সুইজারল্যান্ড (দু ম্যাচে ৩ পয়েন্ট)- কথায় বলে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে অযোগ্য দল যারা প্রথম দশে আছে। প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরকে হারিয়ে সমালোচকদের ছাই দিয়েছিল সুইসরা। তবে ফরসাদিরে কাছে পাঁচ গোল খেয়ে আবার সেই সমালোচনা শুনতে হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার হন্ডুরাসকে বড় ব্যবধানে হারালেই শেষ ষোলো নিশ্চিত। কম ব্যবধানে হারালে গোলপার্থক্যের জন্য ফ্রান্স-ইকুয়েডর ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। এমনকি ড্র করলেও সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে ইকুয়েডরকে হারতে হবে। এমনকী হারলেও চলবে তবে সেক্ষেত্রে ইকুয়েডরকে বড় ব্যবধানে হারতে হবে ফরাসিদের বিরুদ্ধে।

ইকুয়েডর (দু ম্যাচে ৩ পয়েন্ট)-এই গ্রুপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুইজারল্যান্ড ম্যাচটা হেরে গোড়াতেই গলদ হয়ে আছে ইকুয়েডরের। হন্ডুরাসকে হারিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছে। তবে বৃহস্পতিবার গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচটা ডু অর ডাই লাতিন আমেরিকার এই দেশটির কাছে। ফরাসিদের হারাতেই হবে ইকুয়েডরকে। ড্র করলে তাকিয়ে থাকতে হবে সুইস বনাম হন্ডুরাস ম্যাচের ফলাফলের দিকে।

হন্ডুরাস (দু ম্যাচে ০ পয়েন্ট)- প্রথম দুটো ম্যাচে হেরে বিদায়। এখন শুধু সুইসদের বাড়া ভাতে ছাই দিতে পারে।

ব্রাজিল বিশ্বকাপ ২০১৪ এখনও শনিবার রাতের খেলার পর সর্বোচ্চ গোলদাতা কারা কারা--

করিম বেঞ্জিমা (ফ্রান্স)-৩টি
এনার ভ্যালেন্সিয়া (ইকুয়েডর)-৩টি
আরিয়ান রবেন ( নেদারল্যান্ডস)-৩টি
টমাস মুলার (জার্মানি)-৩টি
----
জেমস রডরিগেস (কলম্বিয়া)-২টি
গেআরভিনহো (আইভির কোস্ট)-২টি
লুইস সুয়ারেজ (উরুগুয়ে)-২টি
টিম কাহিল (অস্ট্রেলিয়া)-২টি
নেইমার (ব্রাজিল)-২টি
মারিও ম্যানডোভিচ (ক্রোয়েশিয়া)-২টি

.