মৃত্যুর তারিখ জেনে মরতে চললেন গবেষক

আগামী ১০ মে সুইত্জারল্যান্ডের বাসেলের এক ক্লিনিকে নিষ্কৃতি মৃত্যু হবে গুডঅলের। অস্ট্রেলিয়ায় নিষ্কৃতি-মৃত্যুর সমর্থক এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গুডঅলকে সুইত্জারল্যান্ড যেতে সাহায্য করছে

Updated By: May 3, 2018, 03:39 PM IST
মৃত্যুর তারিখ জেনে মরতে চললেন গবেষক
ছবি- ফেসবুক

নিজস্ব প্রতিবেদন: এপ্রিলে ১০৪ বছরে পা দিয়েছেন বিজ্ঞানী ডেভিড গুডঅল। মোমবাতি জ্বালিয়ে, কেক কেটে যথাযথ মর্যাদায় জন্মদিন পালন হয় তাঁর। কিন্তু এই বয়সে সত্যিই কি যাথার্থ মর্যাদা পাচ্ছেন? এই প্রশ্ন কুরে কুরে খাচ্ছে গুডঅলকে। জরাকে আর বয়ে নিয়ে যেতে রাজি নন তিনি। চাইছেন নিষ্কৃতি মৃত্যু। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে তা কখনই সম্ভব নয়। জেনেই গুডঅল পাড়ি দিচ্ছেন  সুইত্জারল্যান্ডে। যে দেশে মানুষ ভ্রমণে যায়, সেখানেই মৃত্যুকে ‘সমাধি’ করতে চাইছেন পরিবেশবিদ গুডঅল।

আরও পড়ুন- মাঝ আকাশে বিপত্তি! নিরাপদে বিমান অবতরণ করিয়ে ট্রাম্পের প্রশংসা কুড়ালেন মহিলা পাইলট

গুডঅলের কথায়, তিনি বাঁচতে চান যুবকের মতো। কিন্তু এই বয়সে তা সম্ভব নয়। জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় জর্জরিত তিনি। এবারের জন্মদিনে গুডঅল বলেন, “এই জীবন নিয়ে আমি তিতিবিরক্ত। আর বাঁচতে চাই না। এখন শুধু দুঃখগুলো সঞ্চয় করে রাখছি।”

স্বেচ্ছামৃত্যু পেতে সুইত্জারল্যান্ড কেন?

আরও পড়ুন- কোরিয় দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন সেনা বিষয়ে ‘উদাসীন’ মুন, মুখে কুলুপ কিমের

গুডঅল বলেন, “আমার মতো বৃদ্ধের নিজের মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ নাগরিক অধিকার থাকা উচিত। আমি চাই, নিষ্কৃতি মৃত্যুতে অনুমতি দিক রাষ্ট্র।” অস্ট্রেলিয়ায় নিষ্কৃতি মৃত্যু বেআইনি হওয়ায় সুইজারল্যান্ড পাড়ি দিচ্ছেন তিনি। যদিও সেখানে নিষ্কৃতি মৃত্যুতেও বেশি কিছু ক্ষেত্রে কড়াকড়ি রয়েছে।

আরও পড়ুন- বিতর্কের ঝড়ে গণেশ উলটাল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার

আগামী ১০ মে সুইত্জারল্যান্ডের বাসেলের এক ক্লিনিকে নিষ্কৃতি মৃত্যু হবে গুডঅলের। অস্ট্রেলিয়ায় নিষ্কৃতি-মৃত্যুর সমর্থক এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গুডঅলকে সুইত্জারল্যান্ড যেতে সাহায্য করছে।  ১৯১৪ সালে লন্ডনে জন্ম হয় এই বিজ্ঞানীর। অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাকতা করিয়েছেন গুডঅল। ১৯৭৯ সালে অবসরের পরও নানা গবেষণায় যুক্ত ছিলেন তিনি। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার এডিথ কাওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’দশক ধরে গবেষণার কাজ করছিলেন গুডঅল। কিন্তু গুডঅলের বার্ধ্যকের কারণে অবসর দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদক্ষেপকে বিরোধিতা করে আদালতে দ্বারস্থ হন তিনি। সে সময় গুডঅলের পাশে দাঁড়ায় তামাম বিশ্ব। আইনি লড়াই জেতার পর ফের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি পান তিনি।

আরও পড়ুন- অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী 'সুস্বাদু', মত ফরাসি প্রেসিডেন্টের

.