মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে প্রাণ হারালেন ১১ প্রবাসী ভারতীয়, আক্রান্ত ১৬
১০ জন নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা। একজন নিউ জার্সিতে থাকতেন। নিউ ইয়র্কে প্রাণ হারানো ১০ জনের মধ্যে ৪ জন ট্যাক্সি ড্রাইভার ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন ১১ জন প্রবাসী ভারতীয়। আরও ১৬ জন প্রবাসী ভারতীর দেহে কোভিড-১৯ পজিটিভ। গত কয়েক সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে মারাত্মক হারে বাড়তে থাকা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে শঙ্কায় প্রবাসীরা। এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। আর সেই পরিসংখ্যানের তালিকায় রয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়রাও।
সংবাদসংস্থা এনডিটিভি সূত্রে খবর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃত প্রবাসী ভারতীয়দের তালিকায় সকলেই পুরুষ। তাঁদের মধ্যে ১০ জন নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা। একজন নিউ জার্সিতে থাকতেন। নিউ ইয়র্কে প্রাণ হারানো ১০ জনের মধ্যে ৪ জন ট্যাক্সি ড্রাইভার ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
একটা শহরেই ১ লক্ষ ৩৮ হাজার কোভিড নাইন্টিন পজিটিভ। প্রাণ হারিয়েছেন ৬ হাজার মানুষ। পরিসংখ্যান বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের এপিসেন্টার নিউ ইয়র্ক। আর তার পরেই রয়েছে নিউ জার্সি। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১,৫০০ জন মানুষের। দুটি শহরের ঘিঞ্জি পরিবেশ, জন পরিবহণ মাধ্যমের সহজলভ্যতা এবং বিভিন্ন দেশের বহু মানুষের এক সঙ্গে বসবাস, ইত্যাদিকেই করোনাভাইরাস এত বেশি পরিমাণে সংক্রমিত হওয়ার অনুঘটক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফ্লোরিডাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এক ভারতীয়র। মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসেও প্রবাসী ভারতীয়রা আক্রান্ত হয়েছেন কিনা খোঁজ চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে এই মুহূর্তে ১৬ জন প্রবাসীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। তাঁদের মধ্যে ৪ জন মহিলা। এঁদের প্রত্যেককেই আপাতত সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভারতীয়দের সুবিধা-অসুবিধার দিকে কড়া নজর রাখছে ভারতীয় দূতাবাস। বিভিন্ন স্থানীয় ছোট-বড় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রবাসী ভারতীয় পরিবারের হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সাহায্য।
করোনাভাইরাসে মৃত ব্যক্তির দেহ সত্কারের ক্ষেত্রে বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি থাকায় পরিবারের হাতে দেহ দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় সরকারি ভারপ্রাপ্তরাই সত্কারের ব্যবস্থা করছেন।
আরও পড়ুন: আতঙ্ক কাটেনি! লকডাউন উঠতেই বিয়ের ধুম পড়েছে করোনার উত্পত্তিস্থলে