নিজস্ব প্রতিবেদন : মঙ্গলবার সকালে বড়সড় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার মাটি। জারি হয়েছে সুনামি সতর্কতাও। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা রেকর্ড হয়েছে ৭.৩। ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরেস আইল্যান্ডে এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল বা Epicenter ছিল সমুদ্র গর্ভে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভূমিকম্পের পরই মার্কিন সংস্থা USGS সুনামি সতর্কতা জারি করে। সতর্কবার্তায় বলা হয় যে, ভূমিকম্পের এপিসেন্টার থেকে ১০০০ কিলোমিটার পরিধির মধ্যে উপকূল এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে সুনামির ঢেউ। USGS জানিয়েছে, সমুদ্রের ১১.৫ মাইল গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। ইন্দোনেশিয়ার Maumere শহর থেকে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের দূরত্ব ১১২ কিলোমিটার। প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার তাদের সতর্কবার্তায় আরও জানায় যে, ১০০০ কিলোমিটারের মধ্যে ঢেউ 'বিপজ্জনকভাবে' আছড়ে পড়তে পারে।


ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া বরাবরই ভূমিকম্পপ্রবণ। ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্কে বাসিন্দাদের মধ্যে প্রাণভয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন সবাই। রাস্তায় দৌড়দৌড়ি করতে দেখা যায় বাসিন্দাদের। জনসংখ্যার নিরিখে Maumere, ফ্লোরেস আইল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। জনসংখ্যা প্রায় ৮৫ হাজার। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূমিকম্পের জেরে এখনও কোনও প্রাণহানির খবর নেই। আহত হয়েছেন কয়েকজন। সমুদ্রগর্ভে কম্পনের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রভিন্সের মাকাসার সিটি ও সেলায়ার আইল্যান্ডেও কম্পন অনুভূত হয়। সেলায়ার আইল্যান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি স্কুলও।


প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ভয়াবহ সুমানির স্মৃতি এখনও তাড়া করে মানুষকে। সুমাত্রা উপকূলে ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্পের জেরে যে সুনামি হয়েছিল, তাতে ২ সাখ ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। যারমধ্যে ইন্দোনেশিয়াতেই প্রাণ হারান ১ লাখ ৭০ হাজার। 


আরও পড়ুন, Omicron death: ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু দেখল ব্রিটেন, বিশ্বে বাড়ছে চিন্তা


বাইরে কাটা হাত, ঘরের ভিতরে রক্তমাখা মাংসের টুকরো! পাশে কে ঘুমিয়ে?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)