আমেরিকাকে তোপ আহমেদিনেজাদের

আরও একবার আমেরিকা ও পশ্চিমি দেশগুলিকে আক্রমনের নিশানা বানালেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ.বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিভিন্ন অপরাধের জন্য আমেরিকা ও পশ্চিমি শক্তিগুলিকে অভিযুক্ত করেছেন.

Updated By: Sep 27, 2011, 02:08 PM IST

রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চকে ব্যবহার করে আরও একবার আমেরিকা ও পশ্চিমি দেশগুলিকে আক্রমনের নিশানা বানালেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ.বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিভিন্ন অপরাধের জন্য আমেরিকা ও পশ্চিমি শক্তিগুলিকে অভিযুক্ত করেছেন.আহমেদিনেজাদের বক্তব্য চলার সময় আমেরিকা,ইংল্যান্ড,ফ্রান্স,জার্মানি ও ইসরায়েল সহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা হয় সভা ছেড়ে চলে যান অথবা অনুপস্থিত থাকেন.
২০০১-এর ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসবাদী হামলাকে রহস্যজনক আখ্যা দিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন,ওই ঘটনাকে আফগানিস্তান ও ইরাকে আক্রমন চালানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেছে আমেরিকা ও তার সহযোগী দেশগুলি.তিনি বলেছেন,পশ্চিমি শক্তিগুলি হলোকাস্ট বা ৯-১১-র ঘটনা সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন করতে দেয় না.এক্ষেত্রে কেউ কোনও প্রশ্ন তুললেই হুমকি দেওয়া হয়.তাদের বিরুদ্ধে অবরোধ জারি করা হয় অথবা সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়.
অতীতের প্রসঙ্গ তুলেও পশ্চিমি দেশগুলিকে আক্রমন করেছেন আহমেদিনেজাদ.তিনি প্রশ্ন করেছেন,আফ্রিকা থেকে কারা লক্ষ লক্ষ মানুষকে অপহরন করে দাস বানিয়েছিল.এছাড়াও তিনি নাম না করেই প্রশ্নের ঢঙে বলেছেন,আমেরিকা সহ পশ্চিমি অন্যদেশে বোমা ফেলতে সবসময় প্রস্তুত.কিন্তু দুর্ভিক্ষ পীড়িত সোমালিয়া বা অন্যত্র সাহায্য দিতে তারা ইতস্তত করে.আরবে চলতি গনতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পর্কে সরাসরি কোনও মন্তব্য এড়িয়ে গিয়ে আহমেদিনেজাদ বলেছেন,ন্যাটোর ক্ষেপনাস্ত্র কি গনতন্ত্রের ফুল ফোটাবে.
ইরানের প্রেসিডেন্ট আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা ও তাঁর দেহ সমুদ্রে সমাধি দেওয়ার সমালোচনা করেছেন.আহমেদিনেজাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন.

.