হাতে মাত্র ১২ বছর! মঙ্গলে যাওয়ার আবেদন পত্র পাঠিয়ে দিন এক্ষুনি
তর সইছে না। ঝাঁকে ঝাঁকে আবেদন পত্র জমা পড়ছে দফতরে। ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ আবেদন পত্র জমা পড়ে গিয়েছে। আবেদনকারীরা সকলেই নিরিবিলিতে কয়েকটা দিন মঙ্গলের মাটিতে কাটাতে টান। কিন্তু চাইলেও যে পাবেন এমনটা নয়। কার কপালে শিঁকে ছিড়বে কে জানে!
তর সইছে না। ঝাঁকে ঝাঁকে আবেদন পত্র জমা পড়ছে দফতরে। ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ আবেদন পত্র জমা পড়ে গিয়েছে। আবেদনকারীরা সকলেই নিরিবিলিতে কয়েকটা দিন মঙ্গলের মাটিতে কাটাতে টান। কিন্তু চাইলেও যে পাবেন এমনটা নয়। কার কপালে শিঁকে ছিড়বে কে জানে!
বাছাই চারজন পাবেন মঙ্গলে যাওয়ার ছাড়পত্র। কঠিন প্রতিযোগিতা! সময় নষ্ট না করে জলদি পাঠিয়ে দিন আবেদনপত্র। সাকুল্যে চারজন। দুজন মহিলা, দুজন পুরুষ। এই নিয়েই মঙ্গলে পাড়ি দেবে মহাকাশ যান। পৃথিবীর ধুলো, ধোঁয়া, রোজকার সমস্যার ফাঁক গলে নেহাত কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসতে চাইলে আর দেরি নয়। মঙ্গল যাত্রার অবশ্য ঢের দেরি। ২০২৫ সাল। সালটা শুনে ভাবছেন হাতে লম্বা সময়। এত হুড়োতাড়ার আছে টা কী! জানিয়ে রাখি লালগ্রহের মাটিতে পা রাখতে চেয়ে ইতিমধ্যেই দুলক্ষ মানুষ আবেদন পাঠিয়েছেন। ফলে যাঁরা এখনও আবেদন পাঠাননি তাঁরা বুঝতেই পারছেন কতটা পিছিয়ে পড়েছেন। নিজে হাতে দরখাস্ত লিখে তবেই দম ফেলুন! বাছাই চারজন পাবেন মঙ্গলে যাওয়ার টিকিট। তারপর যা আছে কপালে।
এসব কর্মকাণ্ডের মূলে রয়েছে মার্স ওয়ান নামে সুইডেনের একটি সংস্থা। ২০২৫ আগে ২০১৮ সালে রোবট পাঠাবে তারা। সেই অভিযান সফল হলে তবেই মানুষ পাঠাবে সংস্থাটি। লালগ্রহের মাটিতে বসতি গ়ড়ে তোলার জন্য লকহিড মার্টিন ও সাররে স্যাটেলাইট টেকনোলজি মিশনকে ডেকে পাঠিয়েছে মার্স ওয়ান সংস্থা। লালগ্রহে বেসরকারি মালিকানায় পরিচালিত অভিযান এটাই প্রথম। ফলে এই অভিযান যদি সফল হয় মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তা হবে মাইলফলক। পৃথিবীর মাটিতে নিজের এতটুকু বাসা থাক বা না থাক লালগ্রহের মাটিতে বসতি গড়ার স্বপ্ন দেখতেই পারেন। কখনও স্বপ্ন মধুর হয় বাস্তবের চেয়ে। আবার কখনও বাস্তব ছাপিয়ে যায় স্বপ্নকে। এ তো তেমনই এক স্বপ্ন!