আর্জেন্তিনায় বিদ্যুৎ বিপর্যয়, লু-এর প্রবল দাপটে মৃত ৭
প্রচণ্ড গরম আর তার সঙ্গে লু-এর প্রভাবে আর্জেন্তিনায় মৃত্যু হল ৭ জনের। এরমধ্যেই সান্টিয়াগো, বুয়েনস আইরেস-সহ বহু এলাকাতেই শুরু হয়েছে বিদ্যুত্ বিপর্যয়। গত দু সপ্তাহ থেকে প্রায় অন্ধকারেই থাকতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। মিলছে না পর্যাপ্ত পানীয় জলও। সব মিলিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা।
প্রচণ্ড গরম আর তার সঙ্গে লু-এর প্রভাবে আর্জেন্তিনায় মৃত্যু হল ৭ জনের। এরমধ্যেই সান্টিয়াগো, বুয়েনস আইরেস-সহ বহু এলাকাতেই শুরু হয়েছে বিদ্যুত্ বিপর্যয়। গত দু সপ্তাহ থেকে প্রায় অন্ধকারেই থাকতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। মিলছে না পর্যাপ্ত পানীয় জলও। সব মিলিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা।
একে বিদ্যুত্ বিপর্যয়, তার উপরে লু। এই দুইয়ের জেরে আর্জেন্তিনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই বয়স্ক। পাওয়ার গ্রিড বিকল হওয়ায় গত দু`সপ্তাহ ধরে অন্ধকারে ডুবে রয়েছে সান্টিয়াগো দেল এস্তেরো-সহ উত্তর আর্জেন্তিনার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ফলে কাজ করছে না বাতানুকূল যন্ত্র, পাখা। চিকিত্সকদের মতে, এর ফলে লু থেকে ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যার স্বীকার হচ্ছেন বাসিন্দারা। এখন দিনের বেলা সান্টিয়াগোর তাপমাত্রা থাকছে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে ১৯০৬ একবার এত তীব্র গরমের স্বীকার হয়েছিল আর্জেন্তিনা। এরপর ফের ২০১৪। গরমে নাকাল স্থানীয়রা। এই সময় মানুষকে ঘর থেকে বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছেন চিকিত্সকরা।
কোথাও কোথাও বিদ্যুতের দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে রাজপথে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে স্থানীয় মানুষ। কবে সমস্যা মিটবে সেবিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি প্রশাসনও।
বিদ্যুত্ বিপর্যয়ের কারণে বাজারে প্রয়োজনীয় যোগান দিতে পারছে না আইসক্রিম প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলিও। বাড়ছে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা। যদিও দেশের প্রেসিডেন্টের প্রাক্তন সহযোগী, বুয়েনস আইরেসের মেয়র মউরিচিও মার্কি এই বিপর্যয়ের দায় চাপিয়েছেন ফেডারেল গভর্নমেন্টের ওপর। সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে দোষারোপের পালা চললেও আর্জেন্তিনার মানুষ চাইছেন দ্রুত বিদ্যুত্ পরিষেবা স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।