মুশারফের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ প্রাক্তন সহকর্মীর
উনিশশো নিরানব্বই সালের মার্চে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন পরভেজ মুশারফ। তত্কালীন পাক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন পাক সেনার অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আশফাক হুসেন। তাঁর লেখা বই `উইটনেস টু ব্লান্ডার`-এ কার্গিল যুদ্ধের জন্যও পরভেজ মুশারফকে দায়ী করেছেন তিনি। কার্গিল নিয়ে প্রাক্তন আইএসআই কর্তার পর আশফাক হুসেনের এই অভিযোগে চাপে পরভেজ মুশারফ। একই সঙ্গে এই ইস্যুতে ইসলামাবাদও প্রবল অস্বস্তিতে।
উনিশশো নিরানব্বই সালের মার্চে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন পরভেজ মুশারফ। তত্কালীন পাক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন পাক সেনার অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আশফাক হুসেন। তাঁর লেখা বই `উইটনেস টু ব্লান্ডার`-এ কার্গিল যুদ্ধের জন্যও পরভেজ মুশারফকে দায়ী করেছেন তিনি। কার্গিল নিয়ে প্রাক্তন আইএসআই কর্তার পর আশফাক হুসেনের এই অভিযোগে চাপে পরভেজ মুশারফ। একই সঙ্গে এই ইস্যুতে ইসলামাবাদও প্রবল অস্বস্তিতে।
কার্গিল যুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না পরভেজ মুশারফের। সম্প্রতি প্রাক্তন আইএসআই কর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিদ আজিজ কার্গিল কাণ্ডের জন্য মুশারফকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। জবাবে টেলিভিশনে চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাতকারে কার্গিল অভিযানকে পাক সেনাবাহিনীর বড়সর সাফল্য বলে দাবি করেন পরভেজ মুশারফ। কিন্তু এবার নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে রাত কাটানোর মত চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে পরভেজ মুশারফের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলেছেন অবসরপ্রাপ্ত পাক সেনাকর্তা কর্নেল আশফাক হুসেন। কার্গিল যুদ্ধের সময় তিনি পাক সেনার প্রচার বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তাঁর লেখা বই, `উইটনেস টু ব্লান্ডার`-এ হুসেনের দাবি, ১৯৯৯-এর ২৮ মার্চ হেলিকপ্টারে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ১১ কিলোমিটার দুরত্বে জাকরিয়া মুস্তাকর নামে একটি জায়গায় গিয়েছিলেন পরভেজ মুশারফ। তত্কালীন পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন কর্নেল আমজাদ সাব্বির।
উইটনেস টু ব্লান্ডার`-এ হুসেন আরও জানিয়েছেন, কার্গিলের কাণ্ডে সুচনা হয়েছিল ১৯৯৮-এর ১৮ ডিসেম্বর। ওইদিন ক্যাপ্টেন নাদিম, ক্যাপ্টেন আলি এবং হাবিলদার লালক জান নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল রেকি করতে। তত্কালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে কার্গিল অভিযানের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানানো হয় ১৯৯৯-এর ১৭ মে। সম্প্রতি প্রাক্তন আইএসআই কর্তা শাহিদ আজিজ অভিযোগ করেছিলেন কার্গিল যুদ্ধে মাত্র চার জন পাক জেনারেল ছাড়া গোটা সেনাবাহিনীকেই মুশারফ অন্ধকারে রেখেছিলেন। তাঁর বইতে আশফাক হুসেন দাবি করেছেন, মেজর জেনারেল জাভেদ হাসান, জেনারেল মেহমুদ এবং জেনারেল আজিজ, এই তিন পাক সেনাকর্তা কার্গিলে হানাদারির মুল চক্রী। তাদের ছকে সম্মতি দিয়েছিলেন মুশারফ।
প্রাক্তন আইএসআই কর্তা শাহিজ আজিজের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে মুখ খুলে কার্গিলে হানাদারি পাক সেনার অন্যতম বড় সাফল্য বলে মন্তব্য করেছেন পরভেজ মুশারফ। তাঁর এই স্বীকারোক্তি ইসলামাবাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। কিন্তু পাক সেনারই এক কর্নেল প্রাক্তন সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণরেখায় অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলেছেন। ফলে ইসলামাবাদের অস্বস্তির পাশাপাশি ভারত-পাক সম্পর্কে জটিলতা বাড়ার আশঙ্কাও করছে কূটনৈতিক মহল।