রক্তাক্ত বাংলাদেশ, অবস্থানে অনড় হাসিনা
যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের দাবিতে মৌলবাদী সংগঠনের ডাকা হরতালের জেরে রক্তাক্ত বাংলাদেশ। অশান্তির জেরে মৃত্যু হয়েছে এক পুলিসকর্মী সহ ছয় জনের। দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার জামায়েত ইসলামির ডাকা হরতালে গোটা দিন অশান্ত ছিল বাংলাদেশ। হরতালকে সমর্থন জানায় প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও।
যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের দাবিতে মৌলবাদী সংগঠনের ডাকা হরতালের জেরে রক্তাক্ত বাংলাদেশ। অশান্তির জেরে মৃত্যু হয়েছে এক পুলিসকর্মী সহ ছয় জনের। দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার জামায়েত ইসলামির ডাকা হরতালে গোটা দিন অশান্ত ছিল বাংলাদেশ। হরতালকে সমর্থন জানায় প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও।
হরতাল এবং হিংসার চললেও যুদ্ধ অপরাধের বিচার বন্ধ হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিলার বাংলাদেশে হরতালের ডাক দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামি। অবশেষে সেই হরতালের জেরেই দিনভর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা। অশান্তিতে বগুড়াতেই মৃত্যু হয়েছে চার জনের। দুজনের মৃত্যু হয়েছে সিলেট ও যশোরে।
এই অশান্তির জেরে বাংলাদেশ সরকার যে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করবে না তা বৃহস্পতিবারই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন হরতাল সমর্থকেরা। রাজধানী ঢাকার প্রতিটি রাস্তায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিস বাহিনী ও আরএবি।
পুলিসের বাধা সত্বেও মিরপুর, শ্যাওড়াপাড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করার চেষ্টা করেন জামায়েত সমর্থকরা। মিরপুরে একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। হরতালের বিরোধিতা করে পাল্টা মিছিল বের করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লিগও। ধর্মঘটের জেরে বিঘ্নিত হয় দূরপাল্লার বাস ও ট্রেন পরিষেবা।