৪০০ জনকে হত্যা, ৪০ জন মহিলাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামির ফাঁসি, ঢাকার রাস্তায় বিজয় মিছিল

বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামির ফাঁসি। ভারতীয় সময় রাত ১১টা ৩১ মিনিটে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হল রাজাকারের। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই নিয়ে ফাঁসি হল পাঁচ রাজাকারের। নিজামি হলেন সরকারের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করা তৃতীয় ব্যক্তি, যাঁকে দাঁড়াতে হল ফাঁসির পাটাতনে।

Updated By: May 11, 2016, 08:35 AM IST
৪০০ জনকে হত্যা, ৪০ জন মহিলাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামির ফাঁসি, ঢাকার রাস্তায় বিজয় মিছিল

ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামির ফাঁসি। ভারতীয় সময় রাত ১১টা ৩১ মিনিটে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি হল রাজাকারের। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই নিয়ে ফাঁসি হল পাঁচ রাজাকারের। নিজামি হলেন সরকারের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করা তৃতীয় ব্যক্তি, যাঁকে দাঁড়াতে হল ফাঁসির পাটাতনে।

৪ দশক আগে তাঁর পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে আল বদর বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়ন করে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে একাধিক অভিযোগ। পাবনার বাউশগাড়ি সহ ৩টি গ্রামের প্রায় ৪০০ জনকে হত্যা। ৩০ থেকে ৪০ জন মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ। পাবনার ধূলাউড়ি গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বার করে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৫২কে হত্যা। মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের উষালগ্নে অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা। 

মানবতা-বিরোধী এই জঘন্য অপরাধে প্রাণদণ্ডই তাঁর একমাত্র সাজা হতে পারে বলে রায় দেয় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। দিনটা ছিল দুহাজার চোদ্দর ঊনত্রিশে অক্টোবর। তারপর দীর্ঘ আইনি লড়াই। মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুবর্বিবেচনার আবেদন গত পাঁচই মে খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এরপর নিজামির কাছে খোলা ছিল একটিই মাত্র রাস্তা। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন। কিন্তু তিনি সে রাস্তায় হাঁটেননি বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এরপরেই শুরু হয়ে যায় যুদ্ধাপরাধী নিজামির ফাঁসির তোড়জোড়। শেষ দেখার জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেকে পাঠানো হয় তাঁর পরিজনদের। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত পৌনে আটটায় নিজামির সঙ্গে দেখা করেন তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে এবং অন্য আত্মীয়রা। স্থানীয় সময় রাত ১২টা বেজে ১০ মিনিটে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নিজামির ফাঁসি কার্যকর হয়। 

নিজামির ফাঁসির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চে। ঢাকার রাস্তায় বিজয় মিছিল।

গভীর রাতে তাঁর কফিনবন্দি দেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপদহ ইউনিয়নের মন্মথপুর গ্রামে। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে কবর দেওয়া হয়।

.