বর্ধমান কাণ্ড: সন্ত্রাসদমনে সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
বর্ধমান-কাণ্ডে দিল্লির কাছে তথ্য-প্রমাণ চাইল ঢাকা। তদন্ত কতদূর এগিয়েছে তা নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্রও। তদন্তে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিয়েছে। রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে দিল্লিই শুধু নয়, বর্ধমান বিস্ফোরণের আঁচ পৌছে গেছে প্রতিবেশি দেশেও। এতকিছুর পরও রাজ্য সরকার এনআইএ-কে তদন্তের দায়িত্ব দিতে না চাওয়ায় উঠছে প্রশ্ন। শুরু থেকেই বর্ধমান বিস্ফোরণকে ছোট করে দেখাতে তত্পর ছিল জেলা পুলিস।
ওয়েব ডেস্ক: বর্ধমান-কাণ্ডে দিল্লির কাছে তথ্য-প্রমাণ চাইল ঢাকা। তদন্ত কতদূর এগিয়েছে তা নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্রও। তদন্তে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিয়েছে। রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে দিল্লিই শুধু নয়, বর্ধমান বিস্ফোরণের আঁচ পৌছে গেছে প্রতিবেশি দেশেও। এতকিছুর পরও রাজ্য সরকার এনআইএ-কে তদন্তের দায়িত্ব দিতে না চাওয়ায় উঠছে প্রশ্ন। শুরু থেকেই বর্ধমান বিস্ফোরণকে ছোট করে দেখাতে তত্পর ছিল জেলা পুলিস।
তদন্ত একটু এগোতেই বোঝা যায় বর্ধমান-কাণ্ড মামুলি ঘটনা নয়। তদন্তে সিআইডির অধীনে টাস্ক ফোর্স গঠন করে রাজ্য সরকার। বিস্ফোরণের খোঁজখবর করতে গিয়ে রাজ্য পুলিসের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেন এনআইএ-র অফিসাররা। যদিও, সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন স্বরাষ্ট্রসচিব। স্বরাষ্ট্রসচিব এ কথা বললেও তা মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। বর্ধমান-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে রিপোর্ট দিয়েছে তারা। তাতে রাজ্যের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, ঘটনার গুরুত্ব বুঝতেই ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। নেওয়া হয়নি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও। পুলিসি বাধায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ সবের মধ্যেই ঢাকায় ভারতীয় হাই-কমিশনের কাছে বর্ধমান বিস্ফোরণের যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ চেয়ে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিস্ফোরণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশের কেউ এর সঙ্গে জড়িত কিনা এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ ভারতকে কী ভাবে সাহায্য করতে পারে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা রিপোর্টেই বলা হয়েছে, বর্ধমান-কাণ্ডে বাংলাদেশের জঙ্গিরা যুক্ত। বিদেশি জঙ্গিরা জড়িত থাকায় সিআইডির পক্ষে সঠিক তদন্ত সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।
যদিও, এনআইএ তদন্ত কোনওভাবেই চাইছে না রাজ্য সরকার। বর্ধমান বিস্ফোরণ নিছক আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা নয়। ফলে, এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর দোহাই দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সমঝোতা করা উচিত নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।