বাংলাদেশের আশ্রয়ে উলফা নেতা: সাংবাদিক বার্টিল লিন্টনার
অসমে অপারেশন বজরংয়ের সময় উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়াকে আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই। নিজের বই গ্রেট টাইম ইস্ট-এ এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন সুইডিশ সাংবাদিক বার্টিল লিন্টনার। লিন্টনারের দাবি, ওই সময় ডিজিএফআইয়ের গুপ্ত ডেরায় পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ঢাকা শহরে বাড়িটি। কিন্তু ঢাকা বলতে যে জনবহুল শহরের কথা চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তেমন জমজমাট জায়গায় বাড়িটি নয়। সচরাচর যেখানে সাধারণ মানুষের যাতায়াত নেই, সেখানেই খোলা মাঠের মধ্যে দোতলা বাড়িটি। বাড়িটার খুব কাছাকাছি অন্য কোনও বাড়ি নেই। একটি নোঙড়া রাস্তা পার হয়ে বাড়িটির সদর দরজায় পৌঁছতে হয়। বাড়িটির একটি বেসমেন্টও রয়েছে। বাড়িটি বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের গোপন ডেরা।
অসমে অপারেশন বজরংয়ের সময় উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়াকে আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই। নিজের বই গ্রেট টাইম ইস্ট-এ এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন সুইডিশ সাংবাদিক বার্টিল লিন্টনার। লিন্টনারের দাবি, ওই সময় ডিজিএফআইয়ের গুপ্ত ডেরায় পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
ঢাকা শহরে বাড়িটি। কিন্তু ঢাকা বলতে যে জনবহুল শহরের কথা চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তেমন জমজমাট জায়গায় বাড়িটি নয়। সচরাচর যেখানে সাধারণ মানুষের যাতায়াত নেই, সেখানেই খোলা মাঠের মধ্যে দোতলা বাড়িটি। বাড়িটার খুব কাছাকাছি অন্য কোনও বাড়ি নেই। একটি নোঙড়া রাস্তা পার হয়ে বাড়িটির সদর দরজায় পৌঁছতে হয়। বাড়িটির একটি বেসমেন্টও রয়েছে। বাড়িটি বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের গোপন ডেরা।
১৯৯৬-এ যখন অসমে অশান্তি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর অপারেশন চলছে, তখন একদিন ওই বাড়িটিতেই হাজির হয়েছিলেন সুইডিশ সাংবাদিক বার্টিল লিন্টনার। উদ্দেশ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার অন্যতম শীর্ষ নেতা পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে সাক্ষাত্। দেখাও পেয়েছিলেন, কথাও হয়েছিল।
সম্প্রতি নিজের বই গ্রেট টাইম ইস্টে এমনই দাবি করেছেন লিন্টনার। লিন্টনারের বিবরণ অনুযায়ী ডিজিএফআই-র এই গোপন ডেরায় পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে এই সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেন উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া। তবে সুইডিশ সাংবাদিকের সঙ্গে পরেশ বড়ুয়ার এই সাক্ষাত্ ভাল চোখে দেখেনি বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা।
লিন্টনার তাঁর বইয়ে লিখছেন--
``অফিসিয়ালি, বাংলাদেশ কখনও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার কথা স্বীকার করেনি। কেবল এই এলাকা যখন পূর্ব পাকিস্তানি ছিল, তখন তেমনটাই করা হত।``
লিন্টনার লিখেছেন, তাঁর মত কোনও বিদেশি সাংবাদিকের সঙ্গে ডিজিএফআই যে উলফা নেতাদের যোগাযোগ করতে নিষেধ করেছিল, তা অবশ্য তিনি জানতে পারেন এর ঠিক ছ বছর পর, উলফা নেতা শশধর চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের সময়।
"২০০২-এ মার্চে চট্টগ্রামে উলফার বিদেশ সচিব শশধর চৌধুরীর সঙ্গে আমার দেখা করার ব্যবস্থা হয়। হোটেলে বসে আমি তার দেওয়া একটি ই-মেলে অ্যাডরেসে যোগাযোগ করি। কিন্তু এরপর আর কারও সাড়া পাইনি। পরে জানতে পারি, শশধর চৌধুরী সহ অন্য উলফা নেতাদের ডিজিএফআই সতর্ক করে দিয়েছিল, যাতে তারা আমার সঙ্গে দেখা না করেন।"
শুধু তাই নয়। বাংলাদেশ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের অস্ত্র চোরাচালানে যুক্ত থাকারও ইঙ্গিত দিয়েছেন লিন্টনার। এর আগেও বাংলাদেশে জঙ্গিদের উত্থান নিয়ে প্রতিবেদন লিখে বিতর্কে জড়ান এই সুইডিশ সাংবাদিক। সে সময় অবশ্য তাঁর প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের তত্কালীন বিএনপি সরকার।