যে যে দেশে ভোট না দেওয়া একটি অপরাধ, যার জন্য আছে শাস্তি
ভোট একটি অধিকার। ভারতের সংবিধান ভারতের প্রত্যেক নাগরিককে ভোটাধিকার দিয়েছে। ভোট দেওয়ার মৌলিক অধিকারকে কেউই কেড়ে নিতে পারবে না। কিন্তু নাগরিক নিজের ইচ্ছায় ভোটের অধিকার প্রয়োগ নাও করতে পারেন। এতে নাগরিককে কোনও রকম দণ্ড দেওয়ার বিষয় অন্তত ভারতের মত গণতান্ত্রিক দেশে নেই। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যেখানে ভোটাধিকার প্রয়োগ না করলে নাগরিককে দণ্ডিত করার অধিকার আছে রাষ্ট্রের। উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে এমন 'কম্পালসরি ভোটে'র বিধান অথবা নিদান নেই। ভোট বয়কটের অধিকার যেমন ভারতে আছে, তেমনই অনেক দেশ আছে যেখানে ভোট না দিলে অর্থদণ্ড হয়।
ওয়েব ডেস্ক:ভোট একটি অধিকার। ভারতের সংবিধান ভারতের প্রত্যেক নাগরিককে ভোটাধিকার দিয়েছে। ভোট দেওয়ার মৌলিক অধিকারকে কেউই কেড়ে নিতে পারবে না। কিন্তু নাগরিক নিজের ইচ্ছায় ভোটের অধিকার প্রয়োগ নাও করতে পারেন। এতে নাগরিককে কোনও রকম দণ্ড দেওয়ার বিষয় অন্তত ভারতের মত গণতান্ত্রিক দেশে নেই। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যেখানে ভোটাধিকার প্রয়োগ না করলে নাগরিককে দণ্ডিত করার অধিকার আছে রাষ্ট্রের। উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে এমন 'কম্পালসরি ভোটে'র বিধান অথবা নিদান নেই। ভোট বয়কটের অধিকার যেমন ভারতে আছে, তেমনই অনেক দেশ আছে যেখানে ভোট না দিলে অর্থদণ্ড হয়।
কম্পালসরি ভোটের দেশ
আর্জেন্টিনা- ১৭ থেকে ৭০ বছরের নাগরিককে অবশ্যই ভোট দিতে হবে। আর্জেন্টিনাতে এই আইন চালু হয় ১৯১২ থেকে।
অস্ট্রেলিয়া- ১৯২৪ সালে প্রথম কম্পালসরি ভোটের আইন চালু হয়।
ব্রাজিল- ১৮ থেকে ৭০ বছরের নাগরিককে অবশ্যই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে।
সাইপ্রাস- সাইপ্রাসেও তাই। এই দেশে এই আইন চালু করা হয় ১৯৬০ সাল থেকে।
ইকুয়েডোর- ১৯৩৬ সাল থেকে এই দেশে কম্পালসরি ভোটের আইন চালু করা হয়। ১৮ থেকে ৬৫ বছরের নাগরিককে অবশ্যই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হয়।
এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, পেরু, সিঙ্গাপুর, উরুগুয়ে, সুইজারল্যান্ডে এই কম্পালসরি ভোটের আইন চালু রয়েছে।
ভারতের একমাত্র গুজরাট, যেখানে গুজরাট সরকার কম্পালসরি ভোটের আইন চালু করে। রাজ্যস্তরে সিভিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে নাগরিককে অবশ্যই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে।
তথ্যসূত্র-wikipedia