গঠিত হল গণতান্ত্রিক, ধর্ম নিরপেক্ষ নেপালের সংবিধান
ইতিহাসের নয়া অধ্যায়। রবিবার নিজেদের সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রকাশ্যে আনল নেপাল। সে দেশের গণতান্ত্রিক ধর্ম নিরপেক্ষ পার্লামেন্টের ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট রাম বরণ যাদব। যদিও সংবিধানের বিরোধীতায় উত্তাল হিমালয়ের কোল ঘেঁষা সে দেশের তরাই অঞ্চল।
ওয়েব ডেস্ক: ইতিহাসের নয়া অধ্যায়। রবিবার নিজেদের সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রকাশ্যে আনল নেপাল। সে দেশের গণতান্ত্রিক ধর্ম নিরপেক্ষ পার্লামেন্টের ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট রাম বরণ যাদব। যদিও সংবিধানের বিরোধীতায় উত্তাল হিমালয়ের কোল ঘেঁষা সে দেশের তরাই অঞ্চল।
যৌনতার নিরিখে সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও অনন্য ভূমিকা নিল নেপাল। সমকামী, রূপান্তরকামীদের সাংবিধানিক অধিকার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল।
যদিও এই সংবিধানের দেশব্যাপী গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। উত্তরপ্রদেশ ও বিহার সংলঘ্ন নেপালের তরাই অঞ্চলে এখনও সাত প্রভিন্সের ফেডেরাল স্ট্রাকচারের দাবিতে অনড়।
নয়া দিল্লির তরফে জানানো হয়েছে নেপাল সরকারের উচিত আলোচনার মাধ্যমেই কোনও রকম হিংসা ও অশান্তির মোকাবিলা করা। ভারতের মতই নেপালের সংবিধানেও নমনীয়তা প্রয়োজন। তবে নমনীয়তার সঙ্গেই দেশের নেপালের উন্নয়ন, সংহতি, অগ্রগতির জন্য মজবুত সংবিধানও আবশ্যক বলে মত নেপালের।
নেপালের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন এই সংবিধান সবার অধিকার বজায় রাখবে। দেশের বেচিত্রের মধ্যেই ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে। নেপালের ৬০১ জনের সংসদে ৮১% সদস্যই দ্বিকক্ষ সংসদের পক্ষে মত দিয়েছেন।
সংবিধানে ৩৭টি ভাগ, ৩০৪টি ধারা ও ৭টি অ্যানেক্সেস রয়েছে। এক বছরের মধ্যে সাতটি প্রভিন্স নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নেপাল।