ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বিতর্ক-বিক্ষোভের ঝড়
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বিতর্ক-বিক্ষোভের ঝড়। মার্কিন মুলুকেও তারই আঁচ। নিউইয়র্ক থেকে ফিলাডেলফিয়া, বিক্ষোভ সর্বত্রই। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চড়ছে সরব নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই থেকে ফেসবুক সিইও মার্ক জুকেরবার্গ সহ বিশিষ্টরা।
ওয়েব ডেস্ক: ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বিতর্ক-বিক্ষোভের ঝড়। মার্কিন মুলুকেও তারই আঁচ। নিউইয়র্ক থেকে ফিলাডেলফিয়া, বিক্ষোভ সর্বত্রই। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চড়ছে সরব নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই থেকে ফেসবুক সিইও মার্ক জুকেরবার্গ সহ বিশিষ্টরা।
দেশটার নাম আমেরিকা। আমেরিকান ইন্ডিয়ানদের সেই দেশেই একসময় গায়ের জোরে ঘাঁটি গেড়েছিল ইউরোপীয়রা। পর শতাব্দীর পর শতাব্দী সে দেশের ইতিহাসটা শুধুই ছিন্নমূল মানুষের অভিবাসনের। কখনও দুর্ভিক্ষ, কখনও যুদ্ধ। সঙ্কট কাটাতে ইউরোপ ছুটে গিয়েছে মার্কিন মুলুকের এল-ডোরাডোর দেশে। তৈরি হয়েছে ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা। নয়া দেশ গড়ার কাজে সাদা চামড়ার ইউরোপিয়ানদের সঙ্গেই মিলে গিয়েছেন দাস ব্যবসার সূত্রে আসা আফ্রিকার কালো মানুষেরা।
আরও পড়ুন প্রয়াত লিওনেল মেসির কোচ
মাঝে চড়াই উতরাই ছিল, তবু রামধনু রঙের মেল বন্ধনই অনন্য করেছে স্ট্যাচু অব লিবার্টির দেশকে। সেই ঐতিহ্যই আজ চূড়ান্ত সংকটে পড়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক কলমের খোঁচায়। স্ট্যাচু অব লিবার্টির দেশে তাই এখন বিক্ষোভের আঁচ। নিউইয়র্ক থেকে ফিলাডেলফিয়া, বিক্ষোভ সর্বত্র। হাজারো প্রতিবাদী পথে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চড়ছে সুর।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে ফেসবুক কর্তা মার্ক জুকেরবার্গ। উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, আমেরিকাকে সুরক্ষিত রাখা অবশ্যই জরুরি। কিন্তু নজরে রাখা উচিত তাদেরই যারা সত্যিকারের বিপদ। যে মানুষদের প্রকৃত সাহায্য দরকার তাঁদের জন্য মার্কিন মুলুকের দরজা খোলা রাখাই উচিত। এটাই মার্কিন রীতি-ঐতিহ্য।
আরও পড়ুন শহীদ জওয়ানদের আর্থিক সহায়তার অভিনব আইডিয়া দিলেন অক্ষয়কুমার
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইও। তাঁর মতে, মার্কিন ঐতিহ্যের বিরোধী এমন সিদ্ধান্তে তিনি দুঃখিত, ব্যথিত। সন্ত্রাস-যুদ্ধ ছেড়ে যাঁরা বাঁচার লড়াই লড়ছেন, তাঁদের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নাগরিক বিক্ষোভও চরমে। চলছে পথ অবরোধ, ট্রাম্প বিরোধী স্লোগান।
ফুঁসছেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাও। গোটা ঘটনায় জার্মানি ইতালিতে তিরিশের দশকের ফ্যাসিবাদের উত্থানের ছায়াই দেখছেন তাদের অনেকে।