ফের লকডাউনে আটক দুই কোটি মানুষ, করোনায় কাঁপছে চিন
বছরের শুরুতেই চিনের একটা বড় অংশ লকডাউনে জেরবার ছিল প্রায় দুই মাস। এর পর আবার চেংডুতে যেভাবে লকডাউন শুরু হয়েছে তা নিঃসন্দেহে চিনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে বড় ধাক্কা দেবে
![ফের লকডাউনে আটক দুই কোটি মানুষ, করোনায় কাঁপছে চিন ফের লকডাউনে আটক দুই কোটি মানুষ, করোনায় কাঁপছে চিন](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/09/01/388038-whatsapp-image-2022-09-01-at-9.02.00-pm.jpeg)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরোঃ চিনে কি ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত? এখন এই প্রশ্নটাই উঁকি দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মনে। কারণ চিনের অন্যতম প্রধান শহর চেংডুতে নতুন করে ঘরবন্দি প্রায় দুই কোটি মানুষ। শহরের অধিকাংশ মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে করোনার বিভিন্ন উপসর্গ, যা নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে চেংডু প্রশাসনের। সমগ্র চেংডু জুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন। শুরু হয়েছে জোরকদমে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও। চীন প্রশাসনের চিন্তাবৃদ্ধির কারণ হল চেংডু শহরটি অর্থনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংডুতে অধিকাংশ বাসিন্দাকেই ঘরবন্দি হয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শেষপর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলে বাড়ির যে কোন একজন সদস্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে আনার নির্দেশ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- দিলীপের সভায় মহিলার কোমরে দড়ি,মারধর! তুলকালাম কান্ড খড়গপুরে
বছরের শুরুতেই চিনের একটা বড় অংশ লকডাউনে জেরবার ছিল প্রায় দুই মাস। এর পর আবার চেংডুতে যেভাবে লকডাউন শুরু হয়েছে তা নিঃসন্দেহে চিনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে বড় ধাক্কা দেবে। দক্ষিনে শেনজেন এবং উত্তরে ডালিয়ানসহ বেশকিছু অঞ্চলে আগে থেকেই জারি ছিল লকডাউন, ব্যবসা থেকে বিনোদন সবকিছুতেই জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। রবিবার পর্যন্ত চেংডুতে জারি থাকবে লকডাউন, তারপরে পরিস্থিতি আবারও পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করবে স্থানীয় প্রশাসন। চেংডুর পাশাপাশি দক্ষিনে শেনজান থেকে উত্তর পূর্বে ডালিয়ানও মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে লকডাউনের। কিছু কিছু জেলায় পরিস্থিতির এতটাই অবনতি ঘটেছে যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়া অন্যান্য সমস্ত ব্যবসা বা বিনোদনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে প্রশাসন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমানও।
তবে এরইমধ্যে আশার কথা শুনিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে নতুন করে অবস্থার অবনতি না হলে কোথাও দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের পরিকল্পনা নেই প্রশাসনের। তবে চেংডুর অবস্থা নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সেখানেও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে বাসিন্দাদের, এমনকি অনেক সেক্টর নতুন করে তাদের কর্মীদের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু করেছে। তবে তারমধ্যেই আশার কথা দুটি জেলা থেকে লকডাউন তুলেও নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।বারংবার লকডাউনের ফলে একদিকে যেমন চিনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধাক্কা খাচ্ছে তেমনি কারখানা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে স্থানীয় মানুষের উপর।