নিজস্ব প্রতিবেদন: ওসামা বিন লাদেনের খোঁজ দিয়ে পাক সরকারের রোষে পাকিস্তানের চিক্ত্সক ডাক্তার শাকিল আফ্রিদি। জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে পাক আদালত। শুধু তাই নয়, কারাগারেও তাঁর ওপরে অমানুষিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে দাবি শাকিলের। প্রতিবাদে জেলেই অনশনে বসলেন শাকিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-এক কদম এগিয়ে বাংলায় এবার 'কামান দাগা'র পরামর্শ বিজেপি নেতা সায়ন্তনের


বর্তমানে পঞ্জাব প্রদেশের একটি জেলে রয়েছেন আফ্রিদি। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে সেখানে দেখা করেন তাঁর ভাই জামিল আফ্রিদি। সংবাদমাধ্য়মে তিনি জানান, আমাদের গোটা পরিবারের ওপরে অত্যাচার হচ্ছে। জেলেও শাকিলের ওপরে নির্যাতন চলছে। জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার জন্যে তাঁকে ৩৩ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেয় পাক আদালত। পরে বহু আবেদেন পর কারাদণ্ডের মেয়াদ কমিয়ে ১০ বছর করে দেওয়া হয়।


২০১১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর লাদেনের খোঁজে আফগানিস্থানে হামলা করে মার্কিন সেনা। কোটি কোটি ডলার খরচ করেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। সে সময় সিআইএ সাহায্যে এগিয়ে আসেন ডাক্তার শাকিল আফ্রিদি।


আরও পড়ুন-কলকাতার রাস্তায় 'গোলি মারো'! 'তুচ্ছ ঘটনা, ০.১ শতাংশ গুরুত্বপূর্ণ', বললেন রাজ্যপাল


কীভাবে লাদেনের খোঁজ পান শাকিল? এলাকার শিশুদের পোলিয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া নামে একটি ভুয়ো প্রকল্প শুরু করেন শাকিল। ঘরে ঘরে গিয়ে তাঁর কর্মীরা ভ্যাক্সিন দিতে শুরু করে। এভাবেই অ্যাবোটাবাদের একটি বাড়িতে লাদেনের খোঁজ পায় তাঁর কর্মীরা।


শাকিলের পরিবারের দাবি, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই শকিলকে গ্রেফতার করে তার বিরু্দ্ধে কড়া মামলা দেওয়া হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও প্রায় সেটাই মনে করে।