মার্কিন রাজনীতিতে নতুন মোড়! করোনার জুজু দেখিয়ে অভিবাসন সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

মঙ্গলবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট টুইটে জানিয়েছেন, অদৃশ্য শত্রুর আক্রমণ থেকে বাঁচতে এবং আমেরিকা নাগরিকদের কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করতে অস্থায়ীভাবে অভিবাসন স্থগিত করার জন্যে একটি আদেশে স্বাক্ষর করব

Updated By: Apr 21, 2020, 01:00 PM IST
মার্কিন রাজনীতিতে নতুন মোড়! করোনার জুজু দেখিয়ে অভিবাসন সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: নোভেল করোনাভাইরাস! এই মুহুর্তে আতঙ্কের সবচেয়ে বেশি গ্রণযোগ্য সমার্থক শব্দ এটাই। গোটা বিশ্বে মৃত্যু মিছিল আর স্বজন হারানোর হাহাকার। নেপথ্যে এই মারণ ভাইরাস। করোনা সংক্রমণের জেরে বেহাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারই মধ্যে বড়সড় ঘোষণা করলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আপাতত অভিবাসন স্থগিত রাখা হচ্ছে। টুইট মারফৎ ট্রাম্প জানিয়েছেন। আমেরিকার নাগরিকদের স্বার্থেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।

মঙ্গলবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট টুইটে জানিয়েছেন, অদৃশ্য শত্রুর আক্রমণ থেকে বাঁচতে এবং আমেরিকা নাগরিকদের কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করতে অস্থায়ীভাবে অভিবাসন স্থগিত করার জন্যে একটি আদেশে স্বাক্ষর করব। কয়েকদিন আগেরই ঘটনা, মার্কিন প্রেসিডেন্টের টেবিলে জমা পড়েছিল একটি আর্জির চিঠি। ইউএস টেক ওয়ার্কার্স নামে একটি বেসরকারি সংস্থা আপাতত এইচ-১ বি ও এইচ-২বি ভিসা এক বছরের জন্য বাতিল করার আর্জি জানিয়েছিল। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই-১বি ও এইচ-২বি ভিসা এ বছর বাতিল করে দিন যার ফলে বাইরের দেশ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার কর্মী এদেশে আসতে পারবে না। সুবিধা হবে আমেরিকানদের। তারা এ-ও জানিয়েছিল করোনাভাইরাসের বিশ্বমারীর কারণে সব দেশের অর্থনীতির হাল খারাপ। আমেরিকায় কর্মহীন হতে পারেন অগণিত আমেরিকাবাসী। নিজেদের কর্মহীনতার পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে এই আবেদন করেছে মার্কিন প্রযুক্তি সংগঠনটি।

আরও পড়ুন- কমছে সংক্রমণের হার! দেশে অনেকটাই কমছে ডাবলিং রেট, জানিয়ে দিল কেন্দ্র

আগামী নভেম্বরেই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ফের পুনর্নির্বাচিত হবেন তিনি, এমন আশায় বুক বেঁধেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সমগ্র আমেরিকা জুড়ে যে ভাবে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তাতে অনেক মার্কিন নাগরিকই মনে করছেন করোনা মোকাবিলায় অফসাইডে ট্রাম্প। এই অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার দোষারোপ করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। কিন্তু ইউএস টেক ওয়ার্কার্সের এই আর্জি মেনে নেওয়ার সঙ্গে কি ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণের কোনও যোগসূত্র রয়েছে! আমেরিকাবাসীদের মনে ফের জায়গা করে নেওয়ার জন্যই কি এই রাস্তায় হাঁটলেন ট্রাম্প! জল্পনা তুঙ্গে।

.