ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত তুরস্ক
আফটারশকের আতঙ্কে রবিবার রাতটা জেগেই কাটলেন তুরস্কের বাসিন্দারা। ভূমিকম্পবিধ্বস্ত এলাকায় রাতভর যুদ্ধকালীন গতিতে চলেছে উদ্ধারকাজ। এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে অনুমান। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
আফটারশকের আতঙ্কে রবিবার রাতটা জেগেই কাটলেন তুরস্কের বাসিন্দারা। ভূমিকম্পবিধ্বস্ত এলাকায় রাতভর যুদ্ধকালীন গতিতে চলেছে উদ্ধারকাজ। এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে অনুমান। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তুরস্কের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে অবশ্য ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেখানে ভারতীয়রা সকলেই সুরক্ষিত আছেন। এরসিস শহরের ছবিও প্রায় একই। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে সারা শহরই। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাসপাতালগুলিও। তবু এরই মধ্যেযেগুলি খানিকটা হলেও অক্ষত, সেখানকার অবস্থাও রীতিমতো শোচনীয় রোগীদের ভর্তির আর কোনও জায়গা নেই। অগত্যা বাইরে রেখেই আহতদের যথাসাধ্য চিকিত্সার চেষ্টা চলছে। রাতের কনকনে ঠান্ডাকে উপেক্ষা করেই উদ্ধারকাজ চালিয়ে গেছেন কর্মীরা। বিদ্যুত পরিষেবা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ছে। ফলে অন্ধকারের মধ্যেই ফ্লাডলাইট ও ফ্ল্যাশলাইটের সাহায্যে জীবিতদের উদ্ধারের মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। ধ্বংসস্তুপ সরাতে ব্যবহার করা হয় ট্রাক, ক্রেন। কোথাও কোথাও কংক্রিটের শক্ত চাঙর ভাঙতে ব্যবহূত হয়েছে ড্রিলিং মেশিনও। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী তায়িপ এরডোগান রবিবার রাতেই ভূমিকম্প বিধ্বস্ত ভান শহর পরিদর্শনে যান। সেখানে খতিয়ে দেখেন উদ্ধারকাজ। যারা অক্ষত ছিলেন, রবিবারের রাতটা অবশ্য তাঁরা কিছুতেই আর বাড়ির ভিতরে কাটাতে চাননি।
বাইরে রাস্তায় বসেই চলে অন্ধকার এই রাত কাটার অপেক্ষা। ভয় ছিল আফটারশকেরও। সবমিলিয়ে তাই আতঙ্ক আর আশঙ্কায় এক বিনিদ্র রজনী কাটালেন তুরস্কবাসী।