Egypt's Economic Situation: মিশরকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে টেনে তুলবে মুরগির পা? চিকেনফিট নিয়ে উত্তাল পিরামিডের দেশ...
Egypt's Economic Situation: মিশর কি এবার মুরগির পায়ের যুগে প্রবেশ করছে! মিশরকে তাদের চলতি অর্থনৈতিক সংকট থেকে কি টেনে তুলবে মুরগির পা? আপাতত চিকেনফিট নিয়ে উত্তাল পিরামিডের দেশ! কিন্তু এতখানি শক্তি কী ভাবে অর্জন করল মুরগির পা?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মিশর কি এবার মুরগির পায়ের যুগে প্রবেশ করছে! মিশরকে তাদের চলতি অর্থনৈতিক সংকট থেকে কি টেনে তুলবে মুরগির সামান্য পা? আপাতত চিকেনফিট নিয়ে উত্তাল পিরামিডের দেশ! কিন্তু এতখানি শক্তি কী ভাবে অর্জন করল মুরগির পা? এত কিছু থাকতে মুরগি কেন? এটা বোঝার জন্য একটু ফিরে দেখতে হবে।
মিশর সরকারের সূত্র বলছে, মিশরের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে রয়েছেন! তবে, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মিশরের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষই হয় দরিদ্র নয়, দারিদ্র্যের দিকে ঝুঁকে। শোনা যাচ্ছে, সম্প্রতি মিশরের অর্থনৈতিক অবস্থা মোটেই ভালো নেই। আসলে সামগ্রিক ভাবে বিশ্বের অর্থনীতি-পরিস্থিতিই ভালো নেই। এ তারই প্রভাব বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ গোত্রের মূল্যস্ফীতির খপ্পরে পড়েছে মিশর। পরিস্থিতি সেখানে এমন দাঁড়িয়েছে যে, সাধারণ খাদ্যপণ্যও বহু মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। অবস্থা অত্যন্ত সংকটপূর্ণ।
আর এই সংকটে দিন-দিন অগ্নিমূল্য হতে থাকা খাদ্যপণের মধ্যে অন্যতম হল মুরগি। ২০২১ সালে মিশরে ১ কেজি মুরগির দাম ছিল ৩০ মিশরীয় পাউন্ড, যা ভারতীয় টাকায় ৮১ টাকার মতো। গত সোমবার নাগাদ মিশরবাসীকে ১ কেজি মুরগি কিনতে হয়েছে ৭০ মিশরীয় পাউন্ডে বা ১৯২ টাকায়! দু'গুণেরও বেশি দাম! মাত্র দু'বছরের ব্যবধানে মুরগির দাম দ্বিগুণেরও বেশি হওয়ায় অনেকেই তা কিনতে পারছেন না। শরীরের ন্যূনতম প্রয়োজনীয় পুষ্টিটুকুও দিতে পারছেন না অনেকে। দেখা দিয়েছে জাতিগত ভাবে পুষ্টির ঘাটতি। এই পরিস্থিতিতে গত ডিসেম্বরে মিশরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর নিউট্রিশন পুষ্টির ঘাটতি পূরণে বিকল্প খাবারের এক তালিকা প্রকাশ করেছে। ওই তালিকায় রয়েছে মুরগির পা, গবাদিপশুর খুরও।
সরকারের এমন কথায় চটেছেন মিশরীয়রা। তাঁরা বলছেন, এর মাধ্যমে যেন এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, মিশর এক অতি দরিদ্র দেশ! কেন তাঁরা এরকম ভাবছেন? আসলে মিসরে মাংসজাতীয় খাবারের মধ্যে সবচেয়ে কম দাম মুরগির পায়ের। এটিকে সেদেশে খাদ্যের চেয়ে বর্জ্য হিসেবেই বিবেচনা করা হয় বেশি। আর এরকম একটি বর্জ্যকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করার কথা বলায় অসম্মানিত হয়েছেন মিশরবাসীরা।
তবে মিশরবাসীকে মুরগির পা খেতে বলার পরে দাম বেড়ে গিয়েছে মুগির পায়েরও। ১ কেজি মুরগির পায়ের দাম বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ২০ মিশরীয় পাউন্ড, যা আগের দামের দ্বিগুণ।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)