প্রশান্ত মহাসাগরে জোরালো হচ্ছে এল নিনো, তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস ভারতে

প্রশান্ত মহাসাগরে পশ্চিম দিক থেকে দক্ষিণ আমেরিকার বয়ে চলেছে উত্তপ্ত জল। ফলে ক্রমাগত জোরালো হচ্ছে এল নিনো। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ১৯৯৭ সালের থেকেও বেশি জোরালো অবস্থা তৈরি করছে এল নিনো। ক্যালিফোর্নিয়ার খরা জর্জরিত অঞ্চলের জন্য এল নিনো সুখবর হলেও আমেরিকার বেশির ভাগ অঞ্চলেই ভয়াবহ হতে চলেছে পরিস্থিতি। দক্ষিণ আমেরিকায় বন্যার পাশাপাশি তাপপ্রবাহে জ্বলবে এশিয়া ও আফ্রিকা।

Updated By: Aug 7, 2015, 03:27 PM IST
প্রশান্ত মহাসাগরে জোরালো হচ্ছে এল নিনো, তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস ভারতে
Photo courtesy: NASA, NOAA and AP

ওয়েব ডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগরে পশ্চিম দিক থেকে দক্ষিণ আমেরিকার বয়ে চলেছে উত্তপ্ত জল। ফলে ক্রমাগত জোরালো হচ্ছে এল নিনো। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ১৯৯৭ সালের থেকেও বেশি জোরালো অবস্থা তৈরি করছে এল নিনো। ক্যালিফোর্নিয়ার খরা জর্জরিত অঞ্চলের জন্য এল নিনো সুখবর হলেও আমেরিকার বেশির ভাগ অঞ্চলেই ভয়াবহ হতে চলেছে পরিস্থিতি। দক্ষিণ আমেরিকায় বন্যার পাশাপাশি তাপপ্রবাহে জ্বলবে এশিয়া ও আফ্রিকা।

এল নিনোর ফলে গরম হয়ে ওঠে ভূপৃষ্ঠ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চাষ আবাদ। নাসার আবহাওয়াবিদ বিল পাটজার্ট জানান, ১৯৯৭ সালের পর থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে এত ভয়াবহ অবস্থা লক্ষ্য করা যায়নি। এখনও এল নিনো জোরালো না হলেও মনে করা হচ্ছে তেমনই কিছু হতে চলেছে। অগাস্ট থেকে অক্টোবর মাসে কী ঘটে তার ওপর নির্ভর করবে সবকিছু। এই মুহূর্তে মহাসাগরে বয়ে চলেছে কেলভিন ওয়েভ। পশ্চিমে স্বাভাবিক ভাবেই জলস্তর বেশি থাকে। ইকুয়েডরের সমুদ্রপৃষ্ঠের তুলনায় ইন্দোনেশিয়ায় সমুদ্রপৃষ্ঠে জলস্তর ৪০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার বেশি।

ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সূত্রে খবর অনুযায়ী, মার্চ মাসের পর থেকে অন্তত তিনবার পশ্চিমা বায়ুর তাণ্ডব দেখা গিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে। প্রতিবারই উপত্যকা ভেসেছে কেলভিন ওয়েভে। যার ফলে মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে জলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। যা অবশ্য এল নিনোর জোরালো ইঙ্গিত। শুধুমাত্র ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যেই জোরালো হয় এল নিনো। তাই পরিস্থিতি ঠিক কতটা খারাপ হতে চলেছে তা সময়ই বলবে।

 

.