চার দশকের অভিশাপ কেটে নাগরিকত্বের আশায় চলছে দিন যাপন, তবুও আশঙ্কিত নেই রাজ্যের বাসিন্দারা
দীর্ঘ চার দশকের অভিশাপ কেটে যাবে। মিলবে নাগরিকত্ব। আশায় বসে ছিটবাসীরা। তবু যেন থেকে যাচ্ছে, একটা কিন্তু। ঘরে ফেরা হবে তো? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় ছিটের বাসিন্দাদের মনে। কিসের আশঙ্কা? কেন এই আতঙ্কে ভুগছেন তাঁরা, এনিয়েই আমাদের বিশেষ প্রতিবেদন। আজ দ্বিতীয় পর্ব।
ব্যুরো: দীর্ঘ চার দশকের অভিশাপ কেটে যাবে। মিলবে নাগরিকত্ব। আশায় বসে ছিটবাসীরা। তবু যেন থেকে যাচ্ছে, একটা কিন্তু। ঘরে ফেরা হবে তো? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় ছিটের বাসিন্দাদের মনে। কিসের আশঙ্কা? কেন এই আতঙ্কে ভুগছেন তাঁরা, এনিয়েই আমাদের বিশেষ প্রতিবেদন। আজ দ্বিতীয় পর্ব।
অত্যাচারের অভিযোগ। ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। কাঠগড়ায় ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি। বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় ছিটের হাজারো বাসিন্দা ঘরে ফিরতে চান। কিন্তু এই সংগঠনই তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। বলছেন কোচবিহারের সাংসদ নিজেও।
যদিও ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির দাবি, সবটাই রটনা। অবাস্তব অভিযোগ।
দোষারোপের পালা চলছে। হয়ত আগামিদিনেও চলবে। কিন্তু এই মানুষগুলি? কী হবে তাঁদের? শুধুমাত্র ঘরে ফেরার অপেক্ষায় যাঁদের কেটে গেছে বছরের পর বছর।
কিন্তু যে অত্যাচারের অভিযোগ উঠছে, তা কতটা সত্যি?
দীর্ঘ বঞ্চনা, অভাব-অনটন-যন্ত্রণা পেরিয়ে এখন মুক্তির আশায় বসে ওপারের ছিটের বাসিন্দারা। অপেক্ষা এপারে আসার। এবার যাতে আর কেউ পায়ে কাঁটাতারের বেড়ি পরাতে না পারে, শুধু এই দাবিটুকু নিয়ে দুদেশের রাষ্ট্র প্রধানদের দিকে তাকিয়ে ওঁরা।