ফের কাঁপল কলম্বো, গির্জার সামনে গাড়ি-বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণ
শ্রীলঙ্কায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ভারতের ২ জেডিএস (জনতা দল সেকুলার) কর্মীর। কর্নাটক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী দফতর থেকে মৃত্যু খবর নিশ্চিত করে জানায়, জেডিএস-র ৭ কর্মীর একটি দল ঘুরতে যায় শ্রীলঙ্কায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের বিস্ফোরণ কলম্বোয়। সোমবার একটি গির্জার সামনে গাড়ি-বোমা নিষ্ক্রিয় করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এমনটাই জানা যাচ্ছে রয়টার্স সূত্রে। উল্লেখ্য, গতকাল বিকেলে বিমানবন্দরের কাছে একটি বোমা নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছিল। আজকের এই বিস্ফোরণ নিয়ে মোট বিস্ফোরণ ঘটল শ্রীলঙ্কায়। এই ঘটনায় হতাহতের খবর এখনও মেলেনি। তবে গতকাল থেকে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৯০। গুরুত জখম ৫০০।
গতকাল ইস্টার উপলক্ষে বিভিন্ন গির্জায় প্রার্থনা জানাতে জমায়েত হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। সকাল ৮.৪০ নাগাদ কলম্বোর গির্জায় প্রথম বিস্ফোরণ হয়। এর পর বেলা গড়াতে আরও পাঁচটি বিস্ফোরণ খবর মেলে। ৩টি হোটেল এবং আরও ২ গির্জায় বিস্ফোরণ হয়। সে সময় মৃত্যুর সংখ্যা দেড়শোর বেশি। বিকেলে আরও ২ টি বিস্ফোরণ ঘটে।
শ্রীলঙ্কায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ভারতের ২ জেডিএস (জনতা দল সেকুলার) কর্মীর। কর্নাটক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী দফতর থেকে মৃত্যু খবর নিশ্চিত করে জানায়, জেডিএস-র ৭ কর্মীর একটি দল ঘুরতে যায় শ্রীলঙ্কায়। রবিবারের ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ২ জনের। বাকি ৫ জনের কোনও খবর নেই। সে দেশের ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
শ্রীলঙ্কায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণের জেরে ভারতীয় উপকূল বাহিনীকে সতর্ক করল কেন্দ্র। এমনটাই সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে। গতকালের বিস্ফোরণের দায় স্বীকার এখনও পর্যন্ত কোনও সংগঠন করেনি। তবে, সে দেশের সরকার জানিয়েছে, ওই ঘটানোর পিছনে স্থানীয় উগ্র ইসলামিক সংগঠনের হাত থাকতে পারে। সন্দেহের তির যাচ্ছে ন্যাশনাল তৌহিত জামাত নামে একটি সংগঠনের। শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধমূর্তি ধ্বংসের পিছনে ওই সংগঠনের হাত ছিল বলে মনে করা হয়।