এইভাবেও ফিরে আসা যায়! ফেস ট্রান্সপ্ল্যান্টে ঝলসে যাওয়া মুখে নতুন রূপ
পেশায় দমকলকর্মী ছিলেন। ২০০১ একটি দুর্ঘটনায় আগুনে ঝলসে গিয়েছিল তার মুখ। সেই ঝলসে যাওয়া মুখ 'ফেস ট্রান্সপ্ল্যান্টে' ফের ফিরে পান নতুন রূপ। ৪১ বছরের প্যাট্রিক হার্ডিসন এখন বিশ্বের কাছে একটি দৃষ্টান্ত।
ওয়েব ডেস্ক: পেশায় দমকলকর্মী ছিলেন। ২০০১ একটি দুর্ঘটনায় আগুনে ঝলসে গিয়েছিল তার মুখ। সেই ঝলসে যাওয়া মুখ 'ফেস ট্রান্সপ্ল্যান্টে' ফের ফিরে পান নতুন রূপ। ৪১ বছরের প্যাট্রিক হার্ডিসন এখন বিশ্বের কাছে একটি দৃষ্টান্ত।
নিউ ইয়র্কে ল্যানগন মেডিক্যাল সেন্টারে অগাস্ট মাসে সার্জারি করা হয় হার্ডিসনকে। এখনও চলছে ফিজিক্যাল থেরাপি। তবে পরিবারের কাছে তাঁর নতুন রূপ দেখাতে বাড়ি ফেরার জন্য ব্যকূল হয়ে পড়েছেন।
ডাক্তার এডওয়ার্ডো রড্রিগজ হার্ডিসনের ট্রান্সপ্ল্যান্ট নিয়ে একটি রিভিউতে লেখেন, এতদিন যা ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছে, সবথেকে সফল সার্জারি হল হার্ডিসনের। মাথা থেকে চিবুক অবধি আগের রূপ মিলিয়ে কান, নাক, চোখ ফিরিয়ে নিয়ে আসা কঠিন ছিল। কিন্তু সম্ভব হয়েছে। ২৬ ঘণ্টা লাগে এই সার্জারি করতে। ডাঃ আমির ডোরাফশরের মতে এটি "ঐতিহাসিক সাফাল্য"।
এই পুরো ট্রান্সপ্ল্যান্টের কৃতিত্ব শুধু ডাক্তাররাই পাবেন? না তা নয়। হার্ডিসন আরও বেশি ঋণী হয়ে থাকবে অকালে চলে যাওয়া ডেভিড রডবগের কাছে। বছর ২৬ মার্কিন আর্টিস্ট ডেভিড বাইক দুর্ঘটনায় মারা যান। তার দান করা শরীর কাজে লাগিয়ে হার্ডিসন ফিরে পায় নতুন রূপ।
২০০১ এক মহিলার বাড়িতে আগুন নেভানোর কাজ করছিলেন হার্ডিসন। হঠাতই বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে। প্রায় থার্ড ডিগ্রি বার্নে ঝলসে যায় পুরো মুখ। দু-মাস একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিতসা চলে। পায়ের থেকে চামড়া নিয়ে লাগানো হয় মাথায়। কিন্তু কান, নাক, ঠোট সব হারিয়ে ফেলেন। চোখে ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি। এই অল্প দৃষ্টিশক্তিতে যখন আয়নার সামনে নিজেকে দেখতেন, ভয় পেতেন। ৭১ টি সার্জারি চলে তার মুখের উপর।
অবশেষে ডাঃ এডওয়ার্ডো রড্রিগজের ফেস ট্রান্সপ্ল্যান্টের খবর জানতে পারেন। তিনি হার্ডিসনকে আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, সব ঠিক হয়ে যাবে। শুধু ঠিকই হননি, নতুন দিশা দেখিয়েছেন। হার্ডিসনের দৃষ্টান্ত চিকিত্সা বিজ্ঞানে নতুন দরজা খুলে দিল, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।