অবলুপ্তির পথে মানবসভ্যতা? সাবধানবাণী বিজ্ঞানীর

১৯৭৩ সাল ২০১১ সালের মধ্যে শুক্রাণু উৎপাদনের পরিমাণ কমে গিয়েছে পুরুষশরীরে।

Updated By: Feb 28, 2021, 06:44 PM IST
অবলুপ্তির পথে মানবসভ্যতা? সাবধানবাণী বিজ্ঞানীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: মাঝে-মাঝেই এরকম কথা শোনা গিয়েছে যে, এই পৃথিবী আর বেশি দিন নেই। অচিরেই ধ্বংস এগিয়ে আসছে। বন্যা, ভূমিকম্প, সুনামি, গ্রহাণুর ধেয়ে আসা নিয়ে বারে বারেই সাবধান করে দেওয়া হয়েছে মানবসভ্যতাকে। এবারেও প্রায় একই সুরে সাবধানবাণী শোনা যাচ্ছে। শোনাচ্ছেন এক বিজ্ঞানী।

নিউ ইয়র্কের (New York) মাউন্ট সিনাইয়ের (Mount Sinai) ইকান স্কুল অফ মেডিসিনের (Icahn School of Medicine) এপিডেমিওলজিস্ট (Epidemiologist) শান্না সোয়ান (Shanna Swan) তাঁর সাম্প্রতিক বইয়ে জানিয়েছেন, ২০৪৫ সালের মধ্যেই অধিকাংশ পুরুষ নির্বীর্য (impotent) হয়ে পড়বেন। যা এই মানবসভ্যতাকে (human civilization) ঠেলে দেবে ধ্বংসের দিকে।  

ঠিক কী বলেছেন শান্না সোয়ান? 

শান্না জানাচ্ছেন, খুব বেশি হলে আর পঁচিশটা বছর, তার পর থেকেই বিপদ গ্রাস করবে আমাদের। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ২০৪৫ সালের মধ্যেই পৃথিবীর একটা বড় অংশের পুরুষেরা নির্বীর্য হয়ে পড়বেন। তাঁদের শরীরের শুক্রাণু উৎপাদনের ক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাওয়ার এই প্রকৃতি-বিরোধী ঘটনা মানবসভ্যতাকে একটু একটু করে ঠেলে দেবে অবলুপ্তির দিকে।

আরও পড়ুন: কারাগারে মৃত্যু বাংলাদেশি লেখকের

'কাউন্ট ডাউন' (Count Down) নামের বইতে শান্না একটি পরিসংখ্যানও পেশ করেছেন। ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে সারা পৃথিবীর নিরিখে পুরুষদের শরীরে শুক্রাণু উৎপাদনের পরিমাণ কমে গিয়েছে ৫৯ শতাংশ। পশ্চিম গোলার্ধের দেশগুলিতেই এই সমস্যা প্রকট। এই হিসাবের সূত্রেই শান্নার দাবি, পৃথিবীর মধ্যভাগের দেশগুলিতে ২০৪৫ সালের মধ্যে অনেক পুরুষ পুরোপুরি ভাবে নির্বীর্য হয়ে পড়বেন। 
মহিলাদের সন্তানপ্রসব নিয়েও একটি পরিসংখ্যান দিয়েছেন শান্না। বলেছেন, ১৯৬৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে 'গ্লোবাল ফার্টিলিটি রেট' কমে গিয়েছে ২.৪ শতাংশ। এখন সংখ্যাটা ঠেকেছে ২.১ শতাংশে।

আরও পড়ুন: 'উন্নয়নশীল' হল বাংলাদেশ

.