চলে গেলেন ফিদেল কাস্ত্রো
"এ রিভোলিউশন ইজ অ্যা স্ট্রাগল টু দ্যা ডেথ বিটুইন দ্যা ফিউচার অ্যান্ড দ্যা পাস্ট...'' সেই রিভোলিউশনের এক সময়ের অন্যতম পথিকৃত ফিদেল কাস্ত্রোর আজ জীবনাবসান হল। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। কিউবান সময় সন্ধ্যা ৭টায় তাঁর জীবনাবসান ঘটে। কিউবার সরকারি সংবাদ সংস্থা সূত্রে এই খবর জানানো হয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক : "এ রিভোলিউশন ইজ অ্যা স্ট্রাগল টু দ্যা ডেথ বিটুইন দ্যা ফিউচার অ্যান্ড দ্যা পাস্ট...'' সেই রিভোলিউশনের এক সময়ের অন্যতম পথিকৃত ফিদেল কাস্ত্রোর আজ জীবনাবসান হল। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। কিউবান সময় সন্ধ্যা ৭টায় তাঁর জীবনাবসান ঘটে। কিউবার সরকারি সংবাদ সংস্থা সূত্রে এই খবর জানানো হয়েছে।
কাস্ত্রো ১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত প্রথমে কিউবার প্রধানমন্ত্রী ও ১৯৭৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সেদেশর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তার মৃত্যুকে বিশ্ব কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইন্দ্রপতন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞারা।
১৯২৬ সালের ১৩ অগাস্ট বিরানে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পরবর্তীতে হাভানা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পরার সময় থেকেই আমেরিকায় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করেন কাস্ট্রো। সেই শুরু। একের পর এক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার পর অবশেষে তত্কালীন কিউবার প্রেসিডেন্ট ফুলগেনসিও বাতিস্তাকে উতখাত করতে গিয়ে এক বছরের জন্য জেলবন্দি হন। আন্দোলনে কিছুটা ভাঁটা পড়ে সেই সময়। তবে, লড়়াকু কাস্ত্রো কোনওভাবেই পিছু হঠতে রাজি ছিলেন না। পরের বছরই চলে যান মেক্সিকোতে। আর সেখানেই ভাই রাউল কাস্ত্রো ও চে গুয়েভারাকে নিয়ে তৈরি করে ফেলেন 26th of July Movement।
একের পর এক আন্দোলনের চাপে অবশেষে ১৯৫৯ সালে উত্খাত হন কিউবার তত্কালীন প্রেসিডেন্ট ফুলগেনসিও বাতিস্তা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেবছরই কিউবার সামরিক ও রাজনৈতিক শাসনের দায়িত্ব নেন ফিদেল আলেজান্দ্রো কাস্ত্রো রুজ। চেয়ারে বসেই বিশ্বের তত্কালীন অন্যতম শক্তিদর রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নের(অবিভক্ত রাশিয়া) সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করে ফেলেন তিনি। কমিউন্সিট পার্টির তত্কালীন ফার্স্ট সেক্রেটারি কাস্ত্রোর সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নের যোগাযোগ বাড়ছে দেখে আমেরিকার রোষের শিকার হতে হয় তাঁকে। খুনের চেষ্টা থেকে অর্থনৈতিক ব্যারিকেড...সবই করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। তবুও দমানো যায়নি এই বহ্নিশিখাকে। তিনি জ্বলেই গেছেন। শুধু নিজেই জ্বলেছেন তাই নয়, তত্কালীন যুবসমাজকেও শিখিয়েছিলেন কীভাবে লড়াইয়ের ময়দানে শত্রুপক্ষকে এক ইঞ্চিও জমি না ছাড়া। হার মানে আমেরিকা।
সেই সময় থেকেই বিশ্বজুড়ে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। তার সময়ে কিউবার ভোল পাল্টে যায়। একের পর এক নীতি গ্রহণ করে তিনি দেশেকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দেন। ২০০৮ সালে সাস্থের অবনতি হওয়ার পর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন ফিদেল। কিউবার রাষ্ট্রপতি হন তাঁর ভাই রাউল কাস্ত্রো।