Ainaghar:শেখ হাসিনার 'কুখ্যাত' আয়নাঘর আসছে বড়পর্দায়, থাকছে বিরাট চমক
Ainaghar: কাদের রাখা হতো ওই আয়নাঘরে? হাসিনার আমলে বিরোধীদলের বহু নেতা কর্মী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। তারা কোথায় তাদের কোনও হদিস নেই। এমনকি সেনাবাহিনীর লোকজন রয়েছেন ওই তালিকায়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশে অন্যতম আলোচনার বিষয় হল 'আয়নাঘর'। শুনতে সাদামাটা নিরীহ মনে হলেও এক সঙ্গে লুকিয়ে রয়েছে ভয়ংকর নির্যাতনের কাহিনী। শেখ হাসিনার আমলে তৈরি এই আয়নাঘরেই রাখা হতো গুম করে রাখা মানুষজনকে। এটি আলো বাতাসহীন একটি কক্ষ। সেখানে সারাক্ষণ ঘড়ঘড়িয়ে চল ফ্যান। শেখ হাসিনা বিদায় নেওয়ার পর কথা উঠেছে আয়নাঘরের বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। যারা মুক্তি পেয়েছেন তারাও জানিয়েছেন তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা। এবার এই আয়নাঘর নিয়ে তৈরি হচ্ছে ছবি। আসছে বড়পর্দায়।
আরও পড়ুন-হিংসা বন্ধ করে শান্তি ফেরাতেই হবে, মঙ্গলেই হিন্দুদের সঙ্গে বৈঠকে ইউনুস
'আয়নাঘর' থেকে মুক্তি পাওয়া মানুষের কথা নিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন সিনেমা 'আয়নাঘর'। জয় সরকারের এই সিনেমায় থাকছেন কারা? এই নিয়ে জয় সরকার বলেন, গল্প লেখার কাজ নিয়ে আমরা বসেছি। আব্দুল্লাহ জহির বাবু ‘আয়নাঘর’-এর গল্প লিখবেন। সিনেমাটিতে প্রাথমিকভাবে কেয়া পায়েলকে ভেবেছি। চূড়ান্ত করিনি। গল্প লেখার পরে শিল্পী চূড়ান্ত করা হবে।’সিনেমাটি প্রযোজনা করছে র্যাবিট এন্টারটেইনমেন্ট।
কাদের রাখা হতো ওই আয়নাঘরে? হাসিনার আমলে বিরোধীদলের বহু নেতা কর্মী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। তারা কোথায় তাদের কোনও হদিস নেই। এমনকি সেনাবাহিনীর লোকজন রয়েছেন ওই তালিকায়। আয়নাঘর আসলে গোয়েন্দাদের একটি গোপন বন্দিশালা বা ডিটেনশন ক্যাম্প।
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থার খবর অনুযায়ী ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ৬০৫ জন গুম হয়েছেন। এদের অনেকেই বিএনপি সমর্থক। এদের অনেককেই জঙ্গি বলে আটক করা হয়। এদের অনেকে ফিরলেও তারা প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে এদের মধ্যে দুজন তা খানিকটা প্রকাশ করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সেলিম নামে একজন। তাঁকে আচমকাই মাথায় টুপি পরিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে জানানো হয় তাকে রাখা হবে আয়না ঘরে। এর দায়িত্বে রয়েছে প্রতিরক্ষা দফতর ডিজিএফআই।
নেত্র নিউজকে সেলিম জানিয়েছেন, সকালের খাবারে বিস্কুট দেওয়া হতো। দিনরাত একটি একজস্ট ফ্যান চলত শব্দ করে। মাঝেমধ্যে বিমান ওঠানামার শব্দ পেতেন তিনি। ২০০৯ সাল থেকে বিনা কারণে মানুষজনকে গুম করার অভিযোগ উঠতো সামরিক গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে। মূলত আওয়ামী লিগ বিরোধীদের তুলে এনেই বিভিন্ন অভিযোগে আটকে রাখা হতো। সেলিম কোনও হাইভ্যালু বন্দি ছিলেন না। তাই তিনি মুক্তি পান।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)