তাইল্যাণ্ডে বন্যা পরিস্থিতি সঙ্কটজনক
যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েও প্রকৃতির রোষ থেকে রক্ষা পেল না ব্যাঙ্কক। বাঁধ ভেঙে তাইল্যান্ডের রাজধানীতে হু-হু করে ঢুকে পড়েছে চাও ফ্রায়া নদীর জল। গত ষাট বছরে এরকম ভয়াবহ বন্যা দেখেনি তাইল্যান্ড।
ব্যাঙ্ককের অবস্থাও তথৈবচ। প্রবল জোয়ারের ধাক্কায় পরিস্থিতি আরও বেসামাল হয়ে পড়েছে। যদিও আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার ব্যাপারে আশাপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক শিনাওয়াত্রা। তবে বাস্তবে তেমন কিছু ঘটনার আগে এই আশ্বাসবাণী মানতে নারাজ বন্যাদুর্গতেরা।
বালির বস্তা কিংবা অস্থায়ী পাঁচিল তুলে বন্যার জল ঠেকানোর শেষ চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ভেঙে পড়ল তাও। রবিবার ব্যাঙ্ককের একাধিক জায়গা থেকে এধরনের খবর এসে পৌঁছয়। মধ্য ব্যাঙ্ককের সুকুমভিট এলাকায় ফ্লাড গেট ভেঙে চরম বিপত্তি দেখা দেয়। মেরামতকর্মী, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সেটি পুনর্গঠনে হাত লাগান পুলিসকর্মীরাও। অন্যদিকে, বেশকিছু জায়গায় এধরনের অস্থায়ী পাঁচিল গড়ে তোলা নিয়েও বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ নজরে এসেছে। এর ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। বর্তমান পরিস্থিতির শীঘ্রই উন্নতি হবে বলে আশাবাদী তাইল্যাণ্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক শিনাওয়াত্রা। ভাল খবরের আশায় এখন দিন গুনছেন তাইল্যাণ্ডের মানুষও। যদিও সেই আশায় জল ঢেলে দিচ্ছে চারপাশের এই ছবি। প্রবল জোয়ারে নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কিছু এলাকা। বিশেষ করে ছাও ফ্রায়া নদীর তীর সংলগ্ন অঞ্চলগুলির পরিস্থিতি ভয়াবহ। ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বেরিয়ে পড়তে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ। বহু এলাকায় বন্ধ বিদ্যুত্ সরবরাহ। এদিকে সোমবারও প্রবল জোয়ায়ের সতর্কবার্তা শুনিয়েছে সেদেশের আবহাওয়া দফতর। ফলে পরিস্থিতি আরও দুর্বিসহ হয়ে ওঠার আশঙ্কায় ভুগছেন স্থানীয় মানুষজন। এবছর জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া অতিবৃষ্টির জেরে বন্যাবিধ্বস্ত তাইল্যাণ্ড। ইতিমধ্যে চারশো ছুঁয়েছে মৃতের সংখ্যা। বন্যাদুর্গত কুড়ি লক্ষেরও বেশি মানুষ।