চুরি করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল চোর
ঘরের মোটা মোটা দুটি তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়েছিল ও। রাত তখন ঘন হয়েছে। ঘরের একমাত্র সদস্যা তখন অঘোরে ঘুমোচ্ছেন। এমন একটা সময় চোরের কী করা উচিত? একেবারে ঘর সাফ করে পালানো উচিত। তাই তো! কিন্তু না, ফ্লোডিরা এই চোর বাবাজি অন্যরকম কিছু করে ফেললেন। ঘরে ঢুকে এসি-র হাওয়া চোর বাবাজি-র চোখ দুটো জুড়ে এল।
ওয়েব ডেস্ক: ঘরের মোটা মোটা দুটি তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়েছিল ও। রাত তখন ঘন হয়েছে। ঘরের একমাত্র সদস্যা তখন অঘোরে ঘুমোচ্ছেন। এমন একটা সময় চোরের কী করা উচিত? একেবারে ঘর সাফ করে পালানো উচিত। তাই তো! কিন্তু না, ফ্লোডিরা এই চোর বাবাজি অন্যরকম কিছু করে ফেললেন। ঘরে ঢুকে এসি-র হাওয়া চোর বাবাজি-র চোখ দুটো জুড়ে এল।
চুরির ধান্দাবাজিতে কয়েক রাত ঠিকমত ঘুমনো হয়নি। এদিকে, ঘরে ঢুকেই একেবারে ঝাঁ চকচকে ফ্লো দেখার মতো একটা সোফা। এমন একটা সোফায় বসে প্রথমে একটু জিরিয়ে নেওয়া যাক। তালা ভাঙতে, লুকিয়ে উপরে উঠতে অনেক কসরত করতে হয়েছে। চুরির কথাটা বরং পরে ভাবা যাবে। সোফায় বসে কখন যেন চোখ দুটে বুজে এল চোর বাবাজির। কানে কোথ থেকে যেন উড়ে এল, আয় ঘুম, আয় ঘুম....।
সকালে সোফার দিকে তাকিয়েই অবাক ঘরের মালকিন। এ কী ঘরের মধ্যে এ কে শুয়ে! ঘরের দরজা হাট করে খোলা। তালাও তো ভাঙা। মালকিনের চিত্কারে ঘুম ভাঙল চোরের। হাই তুলতে তুলতে ঘুম ভাঙার পর চোরের খেয়াল এল তাই তো... এখানে সে তো হাত সাফাই করতে এসেছিল। হুঁশ ফিরতেই সে টেবিলে রাখা বাড়ির মালকিনের ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিল। ব্যাগে ছিল কয়েকশো ডলার, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ক্রেডিট কার্ড আর কয়েকটা চেক।
ঘটনার শেষটা অবশ্য চোরবাবাজির কাছে বিশেষ সুখের হল না। পুলিসের হাতে সে ধরা পড়ে যায় রাস্তায়। এবার ঘুমটা তাকে হাজতের অন্ধকারে ঘুমোতে হবে। সে রাতের সোফার ঘুম এবার তার ঘুম কাড়বে।