ছ`দিন অতিক্রান্ত, এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে অস্ট্রেলিয়ার দাবানল
ছ-দিন হয়ে গেল। কিন্তু, দাবানল এখনও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল না অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন। নিউ সাউথ ওয়েলসের ৫৮টি জায়গা এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে। তার মধ্যে ১৪টি জায়গার আগুন কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কীভাবে এই দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসবে, বুঝতেই পারছে না প্রশাসন।
ছ-দিন হয়ে গেল। কিন্তু, দাবানল এখনও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল না অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন। নিউ সাউথ ওয়েলসের ৫৮টি জায়গা এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে। তার মধ্যে ১৪টি জায়গার আগুন কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কীভাবে এই দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসবে, বুঝতেই পারছে না প্রশাসন।
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি গরমের মরসুম। এই সময়ে মাঝে মধ্যেই আগুন লেগে যায় বনাঞ্চলে। শুকনো গরম হাওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। কিন্তু, এবার তো সেরকম পরিস্থিতি আসতে এখনও মাস দুয়েক বাকি? তাহলে কী করে ছড়িয়ে পড়ল আগুন? কারণটা খতিয়ে দেখার থেকে অবশ্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার দিকেই বেশি নজর দিতে চাইছে প্রশাসন।
কারণ, ৫৮টির মধ্যে ১৪টি জায়গার আগুনই যে চলে গিয়েছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। পূর্ব উপকূলের একটা বড় অংশই এখন দাউ দাউ করে জ্বলছে। একের পর এক চলে গিয়েছে আগুনের গ্রাসে। কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আসবে এই আগুন? নেভানোর যাবতীয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নামানো হয়েছে ময়দানে। কিন্তু, মিটছে না দাবানলের খিদে। অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি তো হচ্ছেই।
প্রাণহানি যাতে আর না হয়, তাই রবিবার থেকেই দাবানল বিধ্বস্ত এলাকায় জরুরি পরিস্থিতি জারি করেছে প্রশাসন। মানুষজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তত্পরতায়। কিন্তু, ব্লু মাউন্টেন, স্প্রিংউড বা মাউন্ট ভিক্টোরিয়ায় কি আগুন ছড়িয়ে পড়া আটকানো সম্ভব? উত্তরটা এখনও হাতড়ে বেড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন।
দাবানলের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে তাই জমির ফসল উপড়ে ফেলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাহলে, খাবার না পেয়ে শেষপর্যন্ত থামতে পারে আগুন। কয়েকশো বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। নিউক্যাসেল বিমানবন্দরের দিকেও ধেয়ে আসছিল আগুন। সেটা কোনওভাবে আটকানো গিয়েছে। কিন্তু, সিডনি শহরের দিকে এগিয়ে চলা দাবানলের দৌড় কি থামানো সম্ভব হবে? এই প্রশ্নটাও এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে প্রশাসনের সামনে।