Missile on Ukraine: বিজয় দিবসের আগে ইউক্রেনে বৃষ্টির মতো ড্রোন হামলা রাশিয়ার...
Air Attacks of Russia on Ukraine: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিপক্ষে সোভিয়েত বাহিনীর বিজয় উদযাপনে ৯ মে ছুটির দিনের আগে ইউক্রেনজুড়ে তীব্র এই হামলা চালালো রুশ বাহিনী। কিয়েভের দাবি, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিজয় দিবসে বিশেষ উপহার দেওয়ার জন্য বাখমুত দখলের চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী।
Updated By: May 8, 2023, 10:26 PM IST
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিপক্ষে সোভিয়েত বাহিনীর বিজয় উদযাপন হয়েছিল ৯ মে। সেই হিসেবে আগামীকাল রাশিয়ায় ছুটির দিন। আর এই ছুটির দিনের আগেই তারা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল ইউক্রেনের উপর। জানা গিয়েছে, আজ, সোমবার ৮ মে ইউক্রেনে বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বলা হচ্ছে, চলতি মাসে ইউক্রেনীয়দের ওপর এটিই বৃহত্তম ড্রোন হামলা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিপক্ষে সোভিয়েত বাহিনীর বিজয় উদযাপনে ৯ মে ছুটির দিনের আগে ইউক্রেনজুড়ে তীব্র এই হামলা চালালো রুশ বাহিনী।
কিয়েভের দাবি, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিজয় দিবসে বিশেষ উপহার দেওয়ার জন্য বাখমুত দখলের চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য অন্তত ৬০টি ড্রোন পাঠিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে কিয়েভে ঢোকে ৩৬টি, যার সবকটিই গুলি করে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ড্রোনগুলির ধ্বংসাবশেষ বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে আঘাত করে। এতে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে, পাঁচজন আহত হয়েছেন। কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী ওডেসা শহরে একটি খাবারের গুদাম রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Artificial Intelligence: ধেয়ে আসছে পরমাণু বোমা! 'আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স' নিয়ে কেন উদ্বেগ?
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতে রুশ অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছে ওয়াগনার নামে এক বাহিনী। গত সপ্তাহেই এরা বলেছিল, রুশ সেনাবাহিনী তাদের যোদ্ধাদের পর্যাপ্ত অস্ত্র দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, ফলে বাখমুত থেকে সরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তারা। তবে সেই পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলেই শোনা গিয়েছে।
বিজয় দিবসে সাধারণত বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করে থাকে রাশিয়া। তবে জানা গিয়েছে, এ বছর সেই আয়োজন অনেকটা কমিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ এবং ইউক্রেন যুদ্ধে বিপুল সমরাস্ত্র হারানোর কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।