সাহিত্যে নোবেল পাচ্ছেন ফরাসি লেখক প্যাত্রিক মোদিয়ানো
ওয়েব ডেস্ক: সাহিত্যে এ বছর নোবেল পেলেন ফরাসি লেখক প্যাত্রিক মোদিয়ানো। সুইডিশ অ্যাকাডেমি বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১১১তম লেখক হিসাবে তার নাম ঘোষণা করে। ৬৯ বছর বয়সী মোদিয়ানো একাদশ ফরাসি সাহিত্যিক, যিনি এই পুরস্কার পেলেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে মোদিয়ানোর হাতে পুরস্কার বাবদ তুলে দেওয়া হবে ৮০ লাখ ক্রোনার বা ১১ লাখ মার্কিন ডলার।
প্যাত্রিক মোদিয়ানো এ পর্যন্ত ৩০টি উপন্যাস লিখেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আ ট্রেস অব ম্যালিস, হানিমুন, মিসিং পারসন, লাকম্ব, লুসিয়েন ইত্যাদি। তাঁর লেখা উপন্যাস নিয়ে বেশ কিছু চলচ্চিত্রও তৈরি হয়েছে।
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই মাসের মাথায় প্যারিসের পশ্চিমে এক শহরতলীতে জন্ম নেন মোদিয়ানো। তার ইহুদি বংশোদ্ভূত ইতালীয় বাবার সঙ্গে বেলজীয় অভিনেত্রী মায়ের যখন দেখা হয়েছিল, প্যারিস তখন হিটলারের নাৎসি বাহিনীর দখলে। সেইসব দিনের প্যারিস বার বার ফিরে এসেছে মোদিয়ানোর লেখায়। নাৎসি আগ্রাসন আর ইহুদিদের আত্মপরিচয়ের সঙ্কট তৈরি করে দিয়েছে তার অধিকাংশ উপন্যাসের পটভূমি।
কেবল উপন্যাস নয়, মোদিয়ানোর হাত দিয়ে শিশু সাহিত্য, এমনকি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যও বেরিয়েছে। তবে তার সবচেয়ে পরিচিত কাজ সম্ভবত ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত ‘রুই দে বুটিক অবসকিউর’ (ইংরেজি অনুবাদের নাম মিসিং পারসন), যে উপন্যাসের জন্য তিনি সম্মানজনক ‘প্রি গুনকুয়া’ পুরস্কার জিতে নেন।
মোদিয়ানের বহু উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠেছে তার শৈশবের প্যারিসে, তারই জীবনের টুকরো টুকরো অংশ নিয়ে কাহিনীর পরিণতির দিকে এগিয়েছে এক একটি চরিত্র।
কখনো কখনো তিনি উপন্যাসের মাল-মসলা সংগ্রহ করেছেন মানুষের সাক্ষাৎকার থেকে, পত্রিকার নিবন্ধ থেকে, কখনো কখনো নিজের ডায়েরিতে লেখা নোট থেকে, বছরের পর বছর ধরে যা তিনি লিখে চলেছেন। কখনো আবার তার একটি উপন্যাসের গল্প থেকেই জন্ম নিয়েছে আরেকটি উপন্যাস, এক কাহিনির চরিত্র অন্য কোনো উপন্যাসে হাজির হয়েছে ভিন্ন কোনো প্রেক্ষাপটে।
গত বছর সাহিত্যে নোবেল পান ছোটগল্পকার এলিস মুনরো।