গদ্দাফি-দুর্গের পতন আসন্ন?
ত্রিপোলির পর ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এনটিসি) এ বার সম্ভবত দখল নিতে চলেছে সির্তে শহরের। মুয়াম্মর গদ্দাফির জন্মস্থান দখল করে নেওয়াটা এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে এনটিসি। ত্রিপোলির পর থেকেই তাদের পাখির চোখ ছিল সির্তে
ত্রিপোলির পর ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এনটিসি) এ বার সম্ভবত দখল নিতে চলেছে সির্তে শহরের। মুয়াম্মর গদ্দাফির জন্মস্থান দখল করে নেওয়াটা এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে এনটিসি।
ত্রিপোলির পর থেকেই তাদের পাখির চোখ ছিল সির্তে। অনেকটা দুর্গের মতো করে সাজানো এই শহরটি দখল নেওয়ার জন্য কনফারেন্স সেন্টারটিকে তাদের প্রথম নিশানা করে এনটিসি ।কিন্তু তার কাছে পৌঁছতে গত একমাসে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি এনটিসি কমান্ডোদের। প্রতিপদে কঠিন বাধা।
গদ্দাফি অনুগামীদের সঙ্গে জোরদার লড়াইয়ে শক্তিক্ষয় হয়েছে দু`পক্ষেরই। দমে যাওয়ার পাত্র নন কেউই।কিন্তু শনিবার থেকে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছিল গদ্দাফিপন্থীদের প্রতিরোধ।
আর রবিবার কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে শুরু করে এতদিন ধরে তৈরি করা যাবতীয় বাধা।ইতিমধ্যেই সির্তের প্রধান হাসপাতাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দখল নিয়ে ফেলেছে এনটিসি কমান্ডোরা।ত্রিপোলির দখল নিতে তাদের সময় লেগেছিল মাত্র দু`দিন। কিন্তু সির্তেয় পৌঁছেই প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়। কারণ, এই শহরের অধিকাংশ বাসিন্দাই গদ্দাফি-অনুগামী। রবিবার বিকেল পর্যন্ত তেইশজন এনটিসি কমান্ডোর মৃত্যু হয়েছে।
জখম হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিনশো জন।
এনটিসির চেয়ারম্যান মুস্তাফা আবদেল জলিলও জানিয়েছেন, সির্তের মাটিতে পা রাখতে দারুণ বেগ পেতে হয়েছে তাঁদের।তবে সবকিছু ছাপিয়ে উঠে আসছে একটাই প্রশ্ন: কোথায় মুয়াম্মর গদ্দাফি? এনটিসির ধারণা, সাহারা মরুভূমিতে গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেন তিনি।