আস্থা ভোটে জিতে গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল গিলানির

গণতন্ত্রে মতপার্থক্য থাকতেই পারে । কিন্তু তার জন্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করা উচিত নয় । সংসদে দাঁড়িয়ে রীতিমতো আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতে এই মন্তব্য করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। তাঁর দাবি, দেশের সংসদই সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান।

Updated By: Jan 16, 2012, 11:54 PM IST

গণতন্ত্রে মতপার্থক্য থাকতেই পারে । কিন্তু তার জন্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করা উচিত নয়। সোমবার রাতে পাক জাতীয় আইনসভার অধিবেশনে আস্থা ভোট বিতর্কের সময় রীতিমতো আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতে এই মন্তব্য করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। তাঁর দাবি, দেশের সংসদই সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান। সুপ্রিম কোর্ট সোমবার তাঁর বিরুদ্ধ আদালত অবমাননার নোটিস জারি করেছে। সেই প্রসঙ্গে গিলানি জানিয়েছেন, ক্ষমতায় আসার পর তিনিই শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের পুনর্বহাল করেছিলেন।
বিতর্কিত ন্যাশানাল রিকন্সিলিয়েশান অর্ডিন্যান্স বা এনআরও সম্পর্কে তাঁর দাবি, ওই প্রস্তাব পরভেজ মুশারফের আমলে পাস হয়েছিল। অথচ তাঁর কথা বিচারব্যবস্থার মনে পড়ল না। এক সপ্তাহ আগেই প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা পুনরুজ্জীবনের উদ্যোগে না নেওয়ায় গিলানিকে `অসত্‍` বলে চিহ্নিত করেছিল পাক সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে ‘আদালত অবমাননার অভিযোগ কেন আনা হবে না’ এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত। আগামী ১৯ জানুয়ারির আগে গিলানিকে আদালতে হাজির হয়ে এ ব্যাপারে জবাবদিহির নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি নাসির-উল-মুলক-এর নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ৭ সদস্যের বেঞ্চ।

পাক সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী গিলানি জানান, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনেই সশরীরে হাজিরা দেবেন তিনি। সূত্রের খবর, শুধু হাজিরাই নয়, শীর্ষ আদালতের সামনে নিঃশর্ত ক্ষমাও চাইবেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
সুপ্রিম কোর্ট ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে জাতীয় আইনসভায় আস্থা ভোট বিতর্কে অংশগ্রহণ করে গিলানি বলেন, তাঁর সরে দাঁড়ানোতেই যদি সরকার ও পার্লামেন্টের ভিত মজবুত হয়, সে ক্ষেত্রে তিনি ইস্তফা দিতে রাজি। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আস্থাভোটে প্রায় সব দলের সাংসদেরাই 'গণতন্ত্র ও সংবিধানের' পক্ষে ভোট দেন। তবে আস্থাভোটে বিপুল জয় পেলেও পাক প্রধানমন্ত্রীর সামনে সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগের জোড়া কাঁটা আপাতত রয়ে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

.