আধ মিনিটের জেলেই প্রধানমন্ত্রিত্ব গেল গিলানির

মাত্র ৩০ সেকেন্ডের কারাদণ্ডের `প্রতীকী` সাজাটুকুই সম্ভবত পূর্ণচ্ছেদ টানতে চলেছে তাঁর ৩ দশকের রাজনৈতিক জীবনে! মঙ্গলবার বিকেলে পাক সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, আদালত অবমাননার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না ইউসুফ রাজা গিলানি।

Updated By: Jun 19, 2012, 05:28 PM IST

মাত্র ৩০ সেকেন্ডের কারাদণ্ডের `প্রতীকী` সাজাটুকুই সম্ভবত পূর্ণচ্ছেদ টানতে চলেছে তাঁর ৩ দশকের রাজনৈতিক জীবনে!
গত ২৬ এপ্রিল বিচারপতি নাসির-উল-মুল্করে নেতৃত্বাধীন পাক সুপ্রিম কোর্টের ৭ বিচারপতির বেঞ্চ, `ইচ্ছাকৃত ভাবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০ সেকেন্ডের কারাবাসের সাজা দিয়েছিল। কিন্তু আদালত অবমাননার দায়ে প্রতীকী সাজা ঘোষণার পাশাপাশি পাক শীর্ষ আদালত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিল, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ফলে সংবিধানের ৬৩(১-জি) ধারা অনুযায়ী তাঁর কিছু গুরুতর শাস্তি হতে পারে। কার্যক্ষেত্রে হলও ঠিক তাই। মঙ্গলবার বিকেলে পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইফতিকার মহম্মদ চৌধুরি, বিচারপতি বিচারপতি জাওয়াদ এবং বিচারপতি খিলজি আরিফ হুসেনকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, আদালত অবমাননার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না ইউসুফ রাজা গিলানি।
শুধু তাই নয়, অবিলম্বে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে পাক সুপ্রিম কোর্ট আপাতত প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জরদারিকেই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে বলেছে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে পাকিস্তানে দেখা দিয়েছে সাংবিধানিক সঙ্কট। শুধু প্রধানমন্ত্রীত্ব নয়, শীর্ষ আদালতের এদিনের রায়ের ফলে পাক জাতীয় আইনসভার সদস্যপদও হারাতে পারেন শাসকদল পিপিপি`র অন্যতম প্রধান নেতা।
কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কোন কোন পরিস্থিতিতে পদ খোয়াতে পারেন এবং তার পদ্ধতি সবিস্তার বলা রয়েছে পাক সংবিধানের ৬৩(১-জি) ধারাটিতে। এ ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা থাকে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার এবং নির্বাচন কমিশনের। গত ২৬ এপ্রিল গিলানিকে দোষী সাব্যস্ত করার সময়ে আজ সেই ধারাটির শুধুমাত্র উল্লেখ করেছিল ৭ বিচারপতির বেঞ্চ। ওই ধারা অনুযায়ী তাঁকে ইস্তফা দিতে হবে, অথবা ওই ধারা প্রয়োগ করা হচ্ছে এমন কথা কিন্তু বলা হয়নি। গত ২৪ মে পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার ফেমহিদা মির্জা প্রধানমন্ত্রী পদে ইউসুফ রাজা গিলানি বহাল থাকতে পারবেন বলে রায় দিয়েছিলেন। স্পিকারের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়, পাকিস্তান মুসলিম লিগ(নওয়াজ), তেহরিক-ই-ইনসাফ-সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের নেতৃত্ব। আজ শীর্ষ আদালতের নজিরবিহীন রায় পাক রাজনীতিতে তৈরি করল অভূতপূর্ব রাজনৈতিক সঙ্কট।

.