৩৫ টা অক্ষরের পদবির কাছে হার মানতে হল 'অন্ধ' নিয়মকে
একটা পদবিতে কটা অক্ষর থাকতে পারে! গুনে দেখুন না, আপনার পদবিতে কটা অক্ষর আছে। এই যেমন আমার পদবিটা যদি ইংরেজিতে লেখা হয় তাহলে হবে ৭টা। আপনার বড়জোর দশটা। তাই তো! কিন্তু হাওয়াইয়ের বাসিন্দা জেনিসের ব্যাপরটা একটু আলাদা। বিয়ের পর স্বামীর থেকে পাওয়া পদবিটা জেনিসের একটু বড় ছিল। জেনিসের পদবিতে নয় নয় করে ৩৫টা শব্দে আছে। স্টেট আইডি কার্ডে লেখা জেনিসের না আর পদবিটা একটু দেখে নিন-- Janice eihanaikukauakahihuliheekahaunaele।
একটা পদবিতে কটা অক্ষর থাকতে পারে! গুনে দেখুন না, আপনার পদবিতে কটা অক্ষর আছে। এই যেমন আমার পদবিটা যদি ইংরেজিতে লেখা হয় তাহলে হবে ৭টা। আপনার বড়জোর দশটা। তাই তো! কিন্তু হাওয়াইয়ের বাসিন্দা জেনিসের ব্যাপরটা একটু আলাদা। বিয়ের পর স্বামীর থেকে পাওয়া পদবিটা জেনিসের একটু বড় ছিল। জেনিসের পদবিতে নয় নয় করে ৩৫টা শব্দে আছে। স্টেট আইডি কার্ডে লেখা জেনিসের নাম আর পদবিটা একটু দেখে নিন-- Janice eihanaikukauakahihuliheekahaunaele।
সেই ৩৫ শব্দের পদবি নিয়ে দিব্যি ছিলেন জেনিস। কিন্তু একটা ছোট্ট ঘটনা জেনিসের কাছে উটকো ঝামেলা ডেকে আনল। একদিন গাড়িতে সফর করার সময় শহরের এক ট্রাফিক সার্জেন্ট ধরল জেনিসকে। তারপর যা হয় আর কী! ট্রাফিক সার্জেন্ট তাঁর কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স চাইলেন। জেনিস সেটা দেখাতেই ট্রাফিক সার্জেন্ট তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করলেন। নামও জিজ্ঞাসা করলেন। আসলে ব্যাপরটা হল হাওয়াই দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্সের লেখার জায়গায় ৩৪টা অক্ষর লেখার জায়গা থাকে। সেখানে নাম আর দাবি মিলিয়ে জেনিসের ক্ষেত্রে সেটা ৪০ হয়ে যাচ্ছে। নিয়মের সীমাবদ্ধতা থেকেই শুরু সমস্যা।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের অফিসাররা দিলেন কেটেছেটে পদবিটা। এমনভাবে জেনিসের নাম আর পদবিটা ড্রাইভিং লাইসেন্সে নিলেন যাতে ফর্মের ওই ৩৪টা ঘর ভরানো যায়। এই সমস্যার কথাটাই ট্রাফিক সার্জেন্টকে বললেন জেনিস। ট্রাফিক পুলিস জ্ঞান দিয়ে বললেন, কেটে ছোটও করে নাও না পদবিটা। জাতিসত্ত্বায় দারুণ আঘাত পেলেন জেনিস। শুধু ফর্মে জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না বলে পদবিটা ছোটও করে দেবো, এতো অপমান।
তাই কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হলেন ৩৫টা অক্ষরের পদবির মালকিন। কোনও লাভ হল না। সরকারও বলল, কী দরকার নিয়ম নিয়মের মত চলুক, তুমি বরং পদবিটা ছোট করে নাও। মানে আপনার পদবি রায় কর্মকার হলে, শুধু নিয়মের সীমাবদ্ধতা বলেই যদি শেষ অক্ষরটা ফেলে দিতে হয়, তখন আপনার যেমন লাগবে তেমনই লেগেছিল জেনিসের। এরপরই লড়াই শুরু তাঁর। কোর্টের দ্বারস্থ হতে হল। কিন্তু নিয়ম বড় বালাই। তা কী আর পরিবর্তন হয়! সেটাই হল জেনিসের জেদ আর যুক্তির কাছে অন্ধ নিয়ম মাথা ঝোঁকালো।
হাওয়াইয়ের সরকার ঘোষণা করল এ বার আর ড্রাইভিং লাইসেন্সে ৩৫টা নয় ৪০ অক্ষর লেখার জায়গা থাকবে। তার মানে জেনিস আর দীর্ঘ পদবিটা কোনও রকমে এঁটে যাবে। ব্যস! আর কি। এখন যুদ্ধ জয়ের আনন্দ জেনিসের গালে।
তবে মানুষ বড় জটিল। তাই সব কিছুতেই সমস্যা খোঁজে। সমস্যাটা হল Janice eihanaikukauakahihuliheekahaunaele থেকেও যদি কারও নাম বড় হয়, তাহলে! তখন কি ৪০ থেকে আরও বাড়তে হবে!