প্রাক্তন ও বর্তমান কমিউনিস্ট সাম্রাজ্যে তুষার ধস
বরফে বেহাল দুই দেশ। চিনের উইঘুর স্বশাসিত অঞ্চলে আটকে দুই শতাধিক গাড়ি। তুসার ঝড়ে বিপর্যস্ত রাশিয়ার পিটার্সবার্গ। এক ধাক্কায় পারদ নেমে গেছে হিমাঙ্কের থেকে ১৪ ডিগ্রি নিচে।
ওয়েব ডেস্ক: বরফে বেহাল দুই দেশ। চিনের উইঘুর স্বশাসিত অঞ্চলে আটকে দুই শতাধিক গাড়ি। তুসার ঝড়ে বিপর্যস্ত রাশিয়ার পিটার্সবার্গ। এক ধাক্কায় পারদ নেমে গেছে হিমাঙ্কের থেকে ১৪ ডিগ্রি নিচে।
১০ নভেম্বর থেকে লাগাতার বরফ পড়ছে উত্তরপশ্চিম চিনের স্বশাসিত জিংজিয়াং উইঘুর স্বশাসিত অঞ্চলে। একই ছবি তাচেং এবং কাজাক স্বশাসিত প্রদেশের। সর্বত্রই তুসার চাদরে ঢেকেছে দলি থেকে রাজপথ। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পরিবহণে। চিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এস ২০১ হাইওয়ে। রবিবার থেকে পরপর দাঁড়িয়ে পড়েছে প্রায় তিনশো গাড়ি। কারণ বরফে আটকে চাকা। ফলে কনকনে ঠাণ্ডায় অনেকেরই রাত কাটছে গাড়িতেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার থেকে তড়িঘড়ি শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
আরও পড়ুন- ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিনব চিরকুট প্রতিবাদ
জিয়ার থেকে SOS পেয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর কাছে পৌছন উদ্ধারকর্মীরা। তবে সকলে কিন্তু সমান ভাগ্যবান ছিলেন না। কারো কারো ক্ষেত্রে উদ্ধারকর্মীদের পৌছতে রাত কাবার হয়ে যায়।
মেরু অঞ্চলের কাছে থাকলেও পিটার্সবার্গে তুসার ঝড় কিন্তু বিরল। অথচ শুক্রবার থেকে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চলছে তুসার ঝড়। রবিবার রাতে রেকর্ড পরিমাণ বরফ পড়েছে সেখানে। ৩০০ মিলিমিটার। কোথাও কোথাও তুসারপাতের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৫০০ মিলিমিটার। এরফলে পারদ এক ধাক্কায় নেমে যায় মাইনাস ১৪ ডিগ্রি। হঠাত্ বদলে যাওয়ায় আবহাওয়ায় সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। ছুটির দিন হলেও কনকনে ঠাণ্ডায় রবিবার রাতে অনেকেই বাড়ির বাইরে পা রাখেননি। বিভিন্ন বিমানবন্দরের রানওয়ে বরফে ঢেকে যাওয়ায় উড়ান ওঠানামায় সমস্যা দেখা দেয়। বরফ-দুর্যোগে বন্ধ ছিল একাধিক হাইওয়ে।