Global Seizures of Tigers: বিশ্ব জুড়ে চলছে ভয়ংকর এক বাঘবন্দি খেলা...

Global Seizures of Tigers: ২০০০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মৃত বা জীবিত আনুমানিক ৩৩৭৭টি বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করা হয়েছে। আর এই সব ঘটনা ঘটেছে বিশ্বের ৫০টি দেশে।

Updated By: Nov 10, 2022, 08:13 PM IST
Global Seizures of Tigers: বিশ্ব জুড়ে চলছে ভয়ংকর এক বাঘবন্দি খেলা...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাঘবন্দি খেলা। মারণ খেলা। এ খেলা বন্ধ না হলে শেষ হয়ে যাবে একটি প্রাণী। বিঘ্নিত হবে জীববৈচিত্র্য। জানা গিয়েছে, গত ২৩ বছরে সারা বিশ্বে গড়ে প্রতিবছর ১৫০টি বাঘকে বন্দি করা হয় বা এর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করা হয়। তাই সংরক্ষণের অবিরত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিলুপ্তির মুখে থাকা এই প্রাণীটি প্রতিদিনই নতুন নতুন আতঙ্কের মুখে পড়ছে। 'ট্রাফিক'-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন  থেকে এটি জানা গিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০০০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত আনুমানিক ৩৩৭৭টি বাঘের সমপরিমাণ মৃত বা জীবিত বাঘ এবং বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব ঘটনা ঘটেছে ৫০টি দেশে। তবে এর বড় অংশই ঘটেছে ১৩টি দেশে, যেখানে এই বন্য প্রাণী পাওয়া যায়। বিশ্বে টিকে থাকা বন্য বাঘের অর্ধেকই আবার রয়েছে ভারতে। আর ভারতেই সব চেয়ে বেশি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। এরপরে রয়েছে চিন (২১২টি, মোট সংখ্যার ১০ শতাংশ) এবং ইন্দোনেশিয়া (২০৭টি, মোট সংখ্যার ৯ শতাংশ)। পাশাপাশি, বন্যপ্রাণী বা বন্যপ্রাণীর শরীরের অংশ নিয়ে অবৈধ এই বাণিজ্যের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বন্য প্রাণী বাণিজ্য নজরদারি সংগঠনটি সতর্ক করে বলেছে, যে পরিমাণ চোরাচালান হয় এই সংখ্যাটা তার চেয়ে  অনেক কম অপরাধই প্রতিফলিত করে।

আরও পড়ুন: Vladimir Putin: তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন ছিলই, শেষ পর্যন্ত জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না পুতিন...

প্রতিবেদনটির সহলেখক ও ট্রাফিকের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক কানিথা কৃষ্ণস্বামী বলেন, ‘এই তথ্যপ্রমাণে এটা স্পষ্ট যে অবৈধ শিকার ও অবৈধ ব্যবসার কারণে বাঘ এখন ঝুঁকির মধ্যে। আমরা যদি আমাদের জীবদ্দশায় বাঘের বিলুপ্তি দেখতে না চাই, তাহলে দ্রুত সময়োপযোগী পদক্ষেপ করতে হবে।’ 'ট্রাফিক' বলছে, ২০২২ সালের প্রথমার্ধে যে পরিমাণ এই জাতীয় ঘটনা ঘটেছে,তা এটাই ইঙ্গিত করে যে, বাঘ-শিকারিরা বিশ্বের অবশিষ্ট বাঘের পিছনে এরকম নিরলস সাধনায় নিয়োজিত।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-- ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও রাশিয়ায় এই ধরনের ঘটনা লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে। বিপন্ন সুমাত্রান বাঘের বাসস্থল ইন্দোনেশিয়ায়। এই দেশে চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসেই ১৮টি বাঘ ধরা হয়েছে!

বলা হয়, বাঘের সংখ্যা ১৯০০ সালে অন্তত ১ লাখের মতো ছিল। নিরন্তর শিকার ও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কারণে বাঘের বসবাসস্থল ধ্বংসের কারণে বাঘ এখন শুধু দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে সীমাবদ্ধ। আর রয়েছে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে।

কেন বাঘের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের এত চাহিদা?

বিশেষজ্ঞেরা বলেন, অবৈধ বাঘশিকারিরা এই বাঘবন্দি খেলায় মাতে তার কারণ, বহু দেশের লোকজন মনে করেন, বাঘের নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জেরে বহু রোগ সেরে যায়।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.