সিরিয়ায় রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ চাইল আমেরিকা, ব্রিটেন
সিরিয়ার রাজনৈতিক সঙ্কট মেটাতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ দাবি করল আমেরিকা। একই দাবি জানিয়েছে ইংল্যান্ড ও জার্মানি। পশ্চিমি দুনিয়ার এই দেশগুলির অভিযোগ, সিরিয়ায় গণআন্দোলন দমনের নামে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালাচ্ছে প্রেসিডেন্ট বাশার-অল-আসাদের সরকার।
সিরিয়ার রাজনৈতিক সঙ্কট মেটাতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ দাবি করল আমেরিকা। একই দাবি জানিয়েছে ইংল্যান্ড ও জার্মানি। পশ্চিমি দুনিয়ার এই দেশগুলির অভিযোগ, সিরিয়ায় গণআন্দোলন দমনের নামে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালাচ্ছে প্রেসিডেন্ট বাশার-অল-আসাদের সরকার। তাই অবিলম্বে নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
যদিও এ বিষয়ে পুরোপুরি বিরোধী অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া ও চিন। মস্কো ও বেজিংয়ের বক্তব্য, সিরিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলন তীব্র চেহারা নিয়েছে সিরিয়ায়। দামাস্কাসের হোমসে গত ৩ দিনে সিরিয়ার সেনাবাহিনী শতাধিক আন্দোলনকারীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরের মধ্যে ট্যাঙ্ক নামানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর অভিযানের জেরে অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশে পালিয়েছেন।
রাশিয়ার উপ বিদেশমন্ত্রী গেন্নাদি গাতিলভের আশঙ্কা, পশ্চিমী দেশগুলির চাপে পড়ে রাষ্ট্রসংঘ যদি বাসার-অল-আসাদকে গদিচ্যুত করে, তাহলে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। ইরাকের পর মধ্যপ্রাচ্যে আরও একটি দেশে মাথা চাড়া দিতে পারে ইসলামি সন্ত্রাসবাদ। তাই আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট মেটানোর পরামর্শ দিয়েছে তারা। যদিও মার্কিন বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিন্টন সিরিয়ায় রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রকে একজোট করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে ৩ দফা শর্ত সম্বলিত একটি প্রস্তাবনা গৃহীত হয়েছে। এই প্রস্তাবনার মূল তিনটি নির্দেশনা হল:
১) রাষ্ট্রসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সিরিয়ায় অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তবে এখনই কোন অবরোধ আরোপ করা হবেনা।
২) সিরিয়ায় বিবদমান সব পক্ষকে দ্রুততার সঙ্গে সংঘাত বন্ধের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া বিশ্বাসযোগ্য ভাবে কমিয়ে আনতে হবে সিরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও।
৩) প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদকে অবিলম্বে তার সহকারীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশটিতে একটি অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ তৈরি করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।