কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই, সাফ জানালেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর পাকিস্তান গোটা দুনিয়া ঘুরে বিশ্ব নেতাদের বোঝানোর চেষ্টা করছে, কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে ভারত
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ফান্সকে পাশে পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরেঁর সাফ কথা ভারত ও পাকিস্তানকে কাশ্মীর সমস্যা সমাধান করতে হবে দ্বিপাক্ষিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে। এখানে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার কোনও জায়গা নেই। এই এলাকাকে সন্ত্রাসমুক্ত করতেই হবে।
আরও পড়ুন-নগদ সঙ্কটে গত ৭০ বছরে অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশ, বিস্ফোরক নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই জি ৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ফ্রান্সে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনই তাঁর সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্টের প্রায় ঘণ্টা দুয়েক আলোচনা হয়। প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, মহাকাশ গবেষণায় সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়। উঠে আসে কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি ও পাকিস্তানের তত্পরতা।
I am honoured that President @EmmanuelMacron has hosted me in the historic Ch'teau de Chantilly. We had extremely productive discussions on improving economic and people-to-people ties. Strong India-France ties help our citizens as well as contribute to a better planet. pic.twitter.com/p1fzRInWh9
— Narendra Modi (@narendramodi) August 22, 2019
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর পাকিস্তান গোটা দুনিয়া ঘুরে বিশ্ব নেতাদের বোঝানোর চেষ্টা করছে, ভারত কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। তাই এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলির। পাকিস্তান আদাজল খেয়ে লাগলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ মুসলিম দুনিয়ার কোনও দেশেই এনিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি হয়নি। এতেই চাপে পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান। এবার ফ্রান্সও জানিয়ে দিল, কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে দুদেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই।
আরও পড়ুন-সরশুনা জালিয়াতি কাণ্ডে গ্রেফতার মুকুল ঘনিষ্ঠ আরও ১
প্রায় দশ বছর পর জি ৭ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে ভারত। এর ২০০৫ আগে ব্রিটেনের গ্লেনিগেইলসে জি ৭ সম্মেলনে ডাক পেয়েছিলেন মনমোহন সিং।
এদিন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মাকরেঁর সঙ্গে বৈঠকের পর একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন দুই নেতা। সেখানে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখা জরুরি। আলোচনার মাধ্যমেই তা মিটে যাক। এটাই চায় ফ্রান্স। এনিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলব।