দেবযানী খোবরাগাড়ে বিতর্ক: ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই, চলবে ভারতীয় কূটনীতিকের বিরুদ্ধে মামলাও, জানাল মার্কিন প্রশাসন

ভারতের কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ে প্রসঙ্গে ফের নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও সাফ জানাল দেবযানীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করার কোনও সম্ভাবনাই নেই। শুধু তাই নয় এই প্রসঙ্গে ভারতের কাছে ক্ষমা চাওয়ারও কোনও প্রশ্ন নেই বলেই জানান হল মার্কিনি সূত্রে।

Updated By: Dec 31, 2013, 09:26 AM IST

ভারতের কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ে প্রসঙ্গে ফের নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও সাফ জানাল দেবযানীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করার কোনও সম্ভাবনাই নেই। শুধু তাই নয় এই প্রসঙ্গে ভারতের কাছে ক্ষমা চাওয়ারও কোনও প্রশ্ন নেই বলেই জানান হল মার্কিনি সূত্রে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে সাফ জানান হয়েছে সংগ্রহ করা সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দেবযানীর বিরুদ্ধে মামলা জারি থাকবে।

তবে দেবযানীকে গ্রেফতারের পিছনে কোনও অসাধু উদ্দেশ্য কাজ করেনি বলে মার্কিনি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

তবে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা দেবযানী যদি পান তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না মার্কিনি প্রশাসন। তবে মামলা জারি থাকবে।

এর মধ্যে দেবযানী যদি ভারতে ফিরে আসেন এবং ফের আমেরিকায় ফেরার চেষ্টা করেন তাহলে তাঁকে গ্রেফতারির সম্মুখীন হতে পারে।

মেয়েকে স্কুলে পৌছে দিতে গিয়ে গ্রেফতার হন ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়ে। জাল ভিসার সাহায্যে সঙ্গীতা রিচার্ড নামে এক ভারতীয় পরিচারিকাকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। নির্ধারিত পারিশ্রমিকের থেকে পরিচারিকাকে অনেক কম টাকা দিতেন বলেও অভিযোগ। এই অভিযোগে গ্রেফতার হলেও ২লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ছাড়া পান তিনি। এই খবর পেয়েই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় নয়াদিল্লি। বিদেশসচিব সুজাতা সিং সমন পাঠান ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েলকে। উচ্চপদস্থ ভারতীয় কূটনীতিকের এই ধরনের অবমাননা একেবারেই মেনে নেয়নি দিল্লি।

তবে নয়াদিল্লি প্রতিবাদ জানালেও মার্কিন স্বরাষ্ট্রদফতর শনিবার জানিয়ে দিয়েছে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে ভিয়েনা চুক্তিতে যা বলা রয়েছে, তার আওতায় তিনি পড়েন না। ভিয়েনা কনভেনশন অন কনসুলার রিলেশনসের আর্টিকল ৩৬ বলছে, কোনও বিদেশিকে আটক বা গ্রেফতার করলে একটুও দেরি না করে তা দূতাবাস বা কনসুলেটকে জানাতে হবে। আটক বা গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির অনুরোধ অনুযায়ী পুলিস ফ্যাক্স মারফত দূতাবাসকে জানিয়ে দিতে পারে।সম্ভব হলে গ্রেফতারের কারণ, সময় উল্লেখ করতে পারে পুলিস। ডেপুটি কনসাল জেনারেল দেবযানী খোবরাগাড়ের গ্রেফতারের সময় আন্তর্জাতিক প্রোটোকল মানা হয়নি বলেই দিল্লির অভিযোগ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রদফতরের বক্তব্য দেবযানী খোবড়াগাড়ে যা করেছেন তার সঙ্গে ভিয়েনা চুক্তির কোনও সম্পর্ক নেই। তা দেশের আইন ভাঙার সঙ্গে জড়িত। আইন ভাঙার জন্যই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। নয়াদিল্লির দাবি অপমান না করেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেত।

.