সুখের ঠিকানা ভারতই, বলছে সমীক্ষা

বিশ্বের সবথেকে বেশি সংখ্যক খুশি মানুষের ঠিকানা ভারতবর্ষ। গত ৫ বছরের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই এক তথ্য। আর সেই সমীক্ষাই বলছে, খুশির শিখরে পৌঁছতে ধরতে হয় না প্রাচুর্যের হাত। সম্ভবত সেই কারণেই ইউরোপের মাত্র পনেরো শতাংশ মানুষ প্রত্যয়ের সঙ্গে বলতে পারেন না যে তারা খুশিতে আছেন।

Updated By: Feb 11, 2012, 04:03 PM IST

বিশ্বের সবথেকে বেশি সংখ্যক খুশি মানুষের ঠিকানা ভারতবর্ষ। গত ৫ বছরের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই এক তথ্য। আর সেই সমীক্ষাই বলছে, খুশির শিখরে পৌঁছতে ধরতে হয় না প্রাচুর্যের হাত। সম্ভবত সেই কারণেই ইউরোপের মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ প্রত্যয়ের সঙ্গে বলতে পারেন না যে তারা খুশিতে আছেন।
জীবনের যাবতীয় আনন্দের চাবিকাঠি কি শুধু অর্থ, প্রাচুর্য? প্রশ্নটা বহু প্রাচীন। সঠিক উত্তর আজও অধরা। তবে আপেক্ষিকতার দাঁড়িপাল্লায় প্রাচুর্যকে হারিয়ে দিয়েছে নির্মল আনন্দের ভাণ্ডার। আর সেই কারণেই পৃথিবীর সুখীতম মানুষের ঠিকানার নাম ভারত। বৃহত্তম গণতন্ত্রের কারণে ভারতকে সমীহ করলেও এদেশের জীবনযাত্রার মান নিয়ে চিরকালই ভ্রূ কুঁচকেছে প্রথম বিশ্ব। নিগূঢ় সংস্কৃতির খোঁজে ভারতের আনাচ-কানাচে ঘুরে বেড়ালেও এদেশের দারিদ্রকে মূলধন করে নিজেদের সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করতে পিছপা হয় না উন্নত দেশ। কিন্তু, এত কিছুর পরেও নির্মল আনন্দ বাসা বাঁধতে পারেনি প্রাচুর্যে ভরা উন্নত দেশগুলিতে। সাম্প্র্রতিক একটি সমীক্ষার দাবি, বিশ্বের সব চেয়ে বেশি খুশি মানুষ থাকেন ভারতে। দুহাজার সাত সাল থেকে চব্বিশটি দেশের ১৮ হাজার মানুষের অভিমত সংগ্রহ করে এসেছে একটি সংস্থা। আর তাতেই ধরা পড়েছে স্বচ্ছলতার সঙ্গে খুশি থাকার সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। খুশি নির্ণায়ক মানদণ্ডে সবথেকে ওপরে রয়েছে ভারত। আর তালিকায় তারপরের পাঁচটি রয়েছে ব্রাজিল, তুরস্কের মতো দেশ। সমীক্ষা বলছে হাঙ্গেরি, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, স্পেন এবং ইতালিতে খুশি মানুষের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো কম। 
প্রাচূর্যের চূড়ায় বসে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার মতো দেশও ওই মানদণ্ডের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান করছে। কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন তথ্যের মুখোমুখি হয়েছেন সমীক্ষকেরা। হয়তো শুধুমাত্র দুবেলা দুমুঠো খাবার আর মাথা গোঁজার একটা ঠাই-ই এনে দিয়েছে খুশি। আবার কখনও শুধুমাত্র সম্পর্কের সুক্ষ্ণ সুতোয় বোনা আঁটোসাঁটো বাঁধনে ধরা দিয়েছে খুশির নিখুঁত কারুকাজ। সম্ভবত সেই কারণেই সমীক্ষা তালিকার কার্যত তলানিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলি। তবে, খুশি মানুষের ঠিকানা হিসেবে উত্তর আমেরিকাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে লাতিন আমেরিকা। কিন্তু, সবাইকে তাক লাগিয়েছে আমাদের দেশ, আনন্দবাদের জন্মস্থান ভারত। লে লাদাখের হতদরিদ্র কিন্নর-কিশোরীর হাসির সঙ্গে এ দেশে মিলেমিশে যায় কন্যাকুমারিকার কোনও চপল মেয়ের গালের টোল। আনন্দধারা বইছে ভুবনে। সমীক্ষা বলছে, আনন্দের-সুখানুভূতির সেই ধারার সেরা স্নিগ্ধ নিবাসটি এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরেই।

.